দ্যা নিউ ভিশন

এপ্রিল ২১, ২০২৫ ০৯:৪৭

মহাখালীতে আবারও সড়ক অবরোধ তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের, ‘ব্লকেড টু নর্থ সিটি’ শিথিল

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা মহাখালীতে কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করেন। আজ রোববার দুপুরে

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে ঢাকার মহাখালীতে কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে তাঁরা সড়ক অবরোধ করেন। এতে সড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
কলেজের সামনে কয়েকজন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বারাসাত ব্যারিকেড’ বা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি।

তবে বিশ্ব ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতের কথা চিন্তা করে ‘ব্লকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি শিথিল করেছে বলে জানিয়েছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টায় ক্যাম্পাসের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন আন্দোলনে সম্মুখ সারিতে থাকা ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আলি আহমদ।

আলি আহমদ বলেন, ‘আজ বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত ছিল। এতে সারা দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন। তাই তাঁদের কথা চিন্তা করে আমরা শুধু আজকের জন্য আমরা রেলপথ ও ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে সড়কে ব্লকেড কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি। কিন্তু নর্থ সিটির ভেতরে অন্য সড়কগুলোতে ব্লকেড কর্মসূচি চলমান থাকবে।’

তিতুমীর কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী মীর ফারদিন প্রথম আলোকে বলেন, দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আশ্বাস মেলেনি।

তিতুমীর কলেজের সামনে গতকাল শনিবার রাত আটটার দিকে এই কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন কলেজটির শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান।

গত বৃহস্পতিবার তিতুমীর কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে অনশন ও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। সেদিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে রাত ৪টা পর্যন্ত কলেজের প্রধান ফটকের সামনের সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। শুক্রবারও শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। গতকাল টানা তৃতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাঁরা সড়ক থেকে সরে যান।

এমন পরিস্থিতিতে গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ঢাকার সাতটি কলেজের সমন্বয়ে একটি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের লক্ষ্যে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে সরকারি তিতুমীর কলেজের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের ঘোষণা আদায়ে সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন করার যৌক্তিকতা নেই।

এ প্রসঙ্গে শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নোটিশ আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি। আমাদের সাত দফা দাবি এখন এক দফায় মিলিত হয়েছে, আর সেটা হচ্ছে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।’ তিনি বলেন, তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত তাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কলেজটির ১২ জন শিক্ষার্থী অনশনে যুক্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ায় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মফিজুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের আবু নাঈমসহ চারজনকে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ছাত্রদলের অনুষ্ঠানে শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি, ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আশা

ছাত্রশিবির, ছাত্রদলসহ যাঁরা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন, তাঁরা ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী