ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের দেখাশোনাসহ অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। সাভারের বাইপাইলে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে নিহত মো. রমজান আলীর পরিবারের সদস্যরা আজ বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সঙ্গে দেখা করতে যান। সে সময় নাহিদ এ কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, ‘গণ–অভ্যুত্থানের সময় যেভাবে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে এসেছিল; তাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। শহীদদের জন্যই আমরা বেঁচে আছি; বাক্স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি।’
রমজান আলীর পরিবার থেকে তাঁর বাবা ও ছোট বোন আজ মন্ত্রণালয়ে এসেছিলেন। উপদেষ্টা তাঁদের খোঁজখবর নেন এবং তাঁদেরসহ সব নিহত ব্যক্তির পরিবারকে মাসিক ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
রমজান আলী নাটোরের সিংড়ায় ডিগ্রিতে পড়াশোনা করতেন। তাঁর পরিবারের কেউ উপার্জনক্ষম না থাকায় বাইপাইলে একটি মাছের আড়তে কাজ করে তিনি পুরো পরিবারের খরচ চালাতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে তিনি আন্দোলনে অংশ নেন এবং ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে মারা যান।