দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ০০:৫৬

শেষ পর্যন্ত বাঁচানো সম্ভব হলো না আগুনে পুড়ে যাওয়া দুই শিশুকে, যাদের ভাঙনের মধ্যে আটকে পড়েছিল।

ফরিদপুর জেলার মানচিত্র

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ দুই শিশু, ইয়াসিন মুন্সী (৩) ও ইসমাইল মুন্সী (৪), ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। রোববার রাত ৯টা ও ১.৪৫ টার দিকে তাদের মৃত্যু হয়।

গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের রশিবপুরা গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শিশু দুটি দগ্ধ হয়। আগুনে ইসমাইল মুন্সীর শরীরের ৯০ শতাংশ এবং ইয়াসিন মুন্সীর শরীরের ৬৮ শতাংশ পুড়ে যায়। ইয়াসিনের বাবা কৃষক আসাদ মুন্সী এবং ইসমাইলের বাবা সিদ্দিক মুন্সী, দুজনই চাচাতো ভাই।

রশিবপুরা গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. ইদ্রিস আলী মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গতকাল রাত ৯টার দিকে ইসমাইল মুন্সী এবং পৌনে দুইটার দিকে ইয়াসিন মুন্সী মারা যায়।

অগ্নিদগ্ধ শিশুদের চাচা উজ্জ্বল হোসেন বলেন, “গতকাল সকালে বাড়িতে কেউ না থাকায় ইয়াসিন ও ইসমাইল রান্নাঘরে খেলছিল। একপর্যায়ে তারা চুলায় আগুন জ্বালায়, এবং আগুনের শিখা পাটকাঠির বেড়ায় লেগে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ভয় পেয়ে তারা ঘরের পাশে গোসলখানায় লুকিয়ে যায়, কিন্তু আগুনের শিখা গোসলখানার বেড়াতেও লেগে যায়। এলাকাবাসী আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তারা তখন জানতো না, শিশু দুটি গোসলখানায় লুকিয়ে আছে।”

কিছু সময় পরে, ইয়াসিনের মা বাড়িতে ফিরে এসে সন্তানদের খুঁজতে থাকেন এবং গোসলখানায় গিয়ে দুই শিশুকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু দুটির অবস্থা গুরুতর দেখে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করেন।

ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মৌলি চৌধুরী বলেন, “ইয়াসিন মুন্সীর শরীরের ৬৮ শতাংশ এবং ইসমাইল মুন্সীর শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে।”

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট