বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও গতকাল নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হলো বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। প্রতিবছর বিশ্বে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৬৭ লাখ মানুষ মারা যান। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ২৭ কোটি মানুষ জানেন না যে তারা এই রোগে ভুগছেন, এবং তাদের বেশিরভাগই টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। চারজন ডায়াবেটিস রোগীর মধ্যে তিনজনই নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের বাসিন্দা।
**বাংলাদেশে পালিত কর্মসূচি:**
“ডায়াবেটিস: সুস্বাস্থ্যই হোক আমাদের অঙ্গীকার” প্রতিপাদ্যে দিবসটি উপলক্ষে সারা দেশে নানা সচেতনতামূলক কার্যক্রম আয়োজিত হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় রোড শো ও প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। পাশাপাশি ডায়াবেটিস সম্পর্কিত সচেতনতামূলক পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। বারডেম, এনএইচএন এবং বিআইএইচএস-এর আওতাধীন বিভিন্ন কেন্দ্রে বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার ব্যবস্থা ছিল।
**আলোচনাসভা ও বিশেষ আয়োজন:**
বারডেম মিলনায়তনে রোগী ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাসভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বারডেমের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ইউনিট প্রধান ডা. ফারিয়া আফসানা। সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান। অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন এবং বারডেম জেনারেল হাসপাতালের মহাপরিচালক অধ্যাপক এম কে আই কাইয়ুম চৌধুরী।
দিবসটি উপলক্ষে সমিতির নিজস্ব প্রকাশনা *কান্তি* ও *ডায়াবেটিস নিউজলেটার*-এর বিশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়। বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্রও প্রকাশ করা হয়। দেশের বিভিন্ন অধিভুক্ত সমিতি, এনএইচএন, বিআইএইচএস, ইব্রাহিম মেডিক্যাল কলেজ এবং ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালও বিশেষ কর্মসূচি পালন করে।
**ঢাকা মেডিকেলে কর্মসূচি:**
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালন করা হয়। বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি সকালে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। পরে জরুরি বিভাগ, প্রশাসনিক ব্লক, বহির্বিভাগ এবং হাসপাতালের বিভিন্ন প্রাঙ্গণে বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।
এই ধরনের উদ্যোগ সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।