দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ০১:০৬

আন্দোলনে হতাহত ও নিখোঁজদের তথ্য সংগ্রহের জন্য নতুন ওয়েব পোর্টাল উদ্বোধন

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহত ও নিখোঁজদের তথ্য সংগ্রহের জন্য উদ্বোধন করা হয়েছে ‘রেডজুলাই ডট লাইভের (redjuly.live)’। আজ রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এটির উদ্বোধন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

‘রেডজুলাই ডট লাইভ’ নামক ওয়েব পোর্টালের উদ্বোধন করা হয়েছে, যা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত, আহত ও নিখোঁজ বা গুম হওয়া ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ করবে। আজ রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে পোর্টালটির উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনকালে জানানো হয়, এই ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে আন্দোলনে নিহত, আহত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের সঠিক তালিকা তৈরি, তাদের আর্থসামাজিক অবস্থা তুলে ধরা, স্মরণ রাখা এবং ইতিহাসের বিকৃতি রোধ করা হবে। আপাতত ব্যক্তিগত তহবিল দিয়ে পোর্টালটির কাজ চলছে, তবে ভবিষ্যতে এটি সরকারের কাছে হস্তান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহি সাত্তার, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম, কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক আবু সাঈদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক মোহাম্মদ সালেহ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আরিফ সোহেল ও আবদুর রশিদ, জাবি সমন্বয়ক আহসান হাবিব এবং সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মালিহা নামলাহ্।

ওয়েব পোর্টালটির নির্মাণে সহযোগিতা করেছেন অধ্যাপক আবু সাঈদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মাসুদ আলম এবং ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পোর্টালটিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত, আহত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য প্রদান করা যাবে। এখানে আহত, শহীদ ও নিখোঁজ অপশনে তথ্য যোগ করার সুযোগ রয়েছে, যেখানে ভুক্তভোগীর নাম, মা-বাবার নাম, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ, মোবাইল নম্বর, পেশা, মৃত্যুর কারণ, জেলা, বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা, ঘটনাস্থল, আহত হওয়ার তারিখ, ঘটনার সময়, মৃত্যু সময়, ছবি, মৃত্যুসনদ, হাসপাতালের নাম, নিহতের জীবনী ইত্যাদি তথ্য জমা দেওয়া যাবে। পোর্টাল কর্তৃপক্ষ তথ্য যাচাই-বাছাই করে প্রকাশ করবে।

তথ্য যাচাইয়ের জন্য জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিনিধিদের নিয়োগ দেওয়া হবে, যারা শুধুমাত্র শিক্ষার্থী হতে পারবেন। তারা জমা করা তথ্য সরেজমিন যাচাই করবেন।

অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক আবু সাঈদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “পোর্টালটির কাজ এখনো চলমান। ভুয়া তথ্য এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।” বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আরিফ সোহেল জানান, “তথ্য সংগ্রহ করা না গেলে তা বিকৃত করার চেষ্টা হবে।” অপর সমন্বয়ক আবদুর রশিদ বলেন, “আন্দোলনের বীরদের ভুলে না যাওয়ার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

মালিহা নামলাহ্ মন্তব্য করেন, “দেশে অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছেন যারা সরকারি সুবিধা পান না, আবার অনেকে আছেন যারা মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও সুবিধা নিচ্ছেন। তাই এই আন্দোলনের সঠিক তথ্য থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আহসান হাবিব এবং সমাপনী বক্তব্য দেন অধ্যাপক শামসুল আলম। তিনি আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপে হতাশা প্রকাশ করেন।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট