দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ০২:২৯

সারাদিন বন্ধ থাকার পর ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাসেবা পুনরায় শুরু হয়েছে

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।ছবি: আশরাফুল আলম

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূর জাহান বেগমের আশ্বাসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি স্থগিত করে কাজে যোগ দিয়েছেন। আজ রবিবার রাত ৮টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা সেবা শুরু করেছেন তারা।

এর আগে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। তিনি হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত করার এবং কর্মস্থল নিরাপদ করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দেন। বৈঠক শেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি বলেন, চিকিৎসকদের দাবিগুলো দ্রুত পূরণ করা হবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জমান জানান, জরুরি সেবাসহ কিছু সেবা এখনই চালু হবে।

আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা আগে বলেছিলেন, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। এর পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে। রাত ৮টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসকেরা কাজে ফিরে আসেন।

গতকাল শনিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর ও চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনা ঘটে। হামলার বিচার ও নিরাপত্তার দাবিতে আজ সকালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেন চিকিৎসকেরা। পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি, ফলে চিকিৎসকেরা সারা দেশে কর্মবিরতির ডাক দেন।

দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকের সামনে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন আবদুল আহাদ। তিনি জানান, এ কর্মসূচি দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কার্যকর হবে।

এই ঘোষণার পর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন। তিনি আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সাথে বৈঠক করে তাদের দাবিগুলো পূরণের আশ্বাস দেন। এছাড়া হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়াতে সেনা, দুই প্লাটুন বিজিবি ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়।

আন্দোলনরত চিকিৎসকদের চারটি দাবি হলো:

১. হাসপাতালের মতো জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠানে হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা এবং আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার আইনের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করা।

২. নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করা এবং দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য পুলিশের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

৩. রোগীর ভিজিটর ছাড়া কাউকে হাসপাতালে প্রবেশ করতে না দেওয়া এবং এটি স্বাস্থ্য পুলিশের মাধ্যমে নিশ্চিত করা।

৪. হাসপাতালে রোগীর সেবা প্রদানে কোনো অবহেলা হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানো, শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়া।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট