দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ০০:৪৮

স্বাস্থ্য উপদেষ্টার আশ্বাস পাওয়ার পরও চিকিৎসকরা কাজে ফিরে আসেননি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এখনো কাজ করছেন না চিকিৎসকেরা। ছবি: আশরাফুল আলম

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম। বৈঠক থেকে বেরিয়ে রোববার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তিনি বলেন, চিকিৎসকদের দাবিদাওয়া যত দ্রুত সম্ভব পূরণ করা হবে। আর ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জমান বলেন, তাঁরা জরুরি সেবাসহ কিছু সেবা এখনই চালু করবেন।

কিন্তু আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা বলেছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা কর্মবিরতি অব্যাহত রাখবেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন আবদুল আহাদ বলেন, এখন দাবি পূরণ হলে এখনই তাঁরা কাজে ফিরবেন। অবশ্য চিকিৎসকদের আরেকটি পক্ষ প্রথম আলোকে বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তাই আগামীকাল সোমবার রাত আটটা পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।

তবে পাল্টাপাল্টি এসব ঘোষণার আধা ঘণ্টা পরেও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসকেরা কাজে যোগ দেননি।

গতকাল শনিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর ও চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনা ঘটে। হামলার বিচার ও নিরাপত্তার দাবিতে আজ সকাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেন চিকিৎসকেরা। পরে সব চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনায় বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, কিন্তু সেই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। এরপর চিকিৎসকেরা সারা দেশে কর্মবিরতির ডাক দেন।

দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকের সামনে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচি ঘোষণা করেন আবাসিক সার্জন আবদুল আহাদ। তিনি চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়দের পক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তখন আবদুল আহাদ বলেন, সারা দেশের মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এই কর্মসূচির আওতাভুক্ত হবে।

এই ঘোষণার পর ঢাকা মেডিকেলে আসেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম। তিনি আন্দোলকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ও রোগীদের নিরাপত্তার স্বার্থে সেনা ও দুই প্লাটুন বিজিবি ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

আন্দোলনরত চিকিৎসকদের চার দফা দাবি হলো—

১. হাসপাতালের মতো জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠানে যেসব ব্যক্তি বা কুচক্রী মহল এই ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করা। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা। দ্রুত বিচার আইনের মাধ্যমে তাদের শাস্তির আওতায় আনা।
২. নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করা। এ লক্ষ্যে অবিলম্বে দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য পুলিশের (আমর্ড ফোর্স) মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৩. নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে হাসপাতালে রোগীর ভিজিটর (ভিজিটর কার্ডধারী) ছাড়া বহিরাগত কাউকে কোনোভাবেই ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়া। বিষয়টি স্বাস্থ্য পুলিশের মাধ্যমে নিশ্চিত করা।
৪. হাসপাতালে রোগীর সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো অবহেলা-অসংগতি পরিলক্ষিত হলে, তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ আকারে জানানো। এভাবে শাস্তি নিশ্চিত করা যেতে পারে, কিন্তু কোনোভাবেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট