বর্তমানে আমাদের সমাজে কার্যকরী মানুষের সংখ্যা কম হলেও সমালোচকরা মোটেই কম নয়। অনেকের দিনের প্রধান কাজ হলো সমালোচনা করা। সমালোচনা করা একটি ইতিবাচক বিষয় হতে পারে, তবে তা তখনই উপকারী যখন তা গঠনমূলক হয়। যখন সমালোচনা ব্যক্তি বিশেষের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যের প্রতি শ্রদ্ধা রাখে না এবং মানসিক শান্তি নষ্ট করে, তখন সেখান থেকে দূরে থাকা ভালো। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সমালোচকদের চুপ করানো কি সম্ভব? মনস্তাত্ত্বিকদের মতে, যদি কিছু উপায় জানা থাকে এবং মনের জোর থাকে, তবে এটি সম্ভব।
অনেকেই বিরূপ সমালোচনায় ভেঙে পড়েন এবং পাল্টা জবাব দিতে পারেন না। কিন্তু মনোবিদরা বলছেন, জবাব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। মাত্র পাঁচটি উপায়ে সমালোচকদের নীরব করে রাখা সম্ভব। আত্মবিশ্বাসই আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি।
১. **আত্মসচেতনতা**: নিজের শক্তি ও সক্ষমতা সম্পর্কে সচেতন থাকুন। আপনার সাফল্য এবং দুর্বলতা উভয়ের মূল্যায়ন করুন, যাতে আত্মবিশ্বাস অটুট থাকে। দিনলিপি লেখার মাধ্যমে নিজের চিন্তাভাবনা বিশ্লেষণ করুন। মনে রাখবেন, নিন্দুকদের কথা তাদের নিজেদের নিরাপত্তাহীনতার প্রতিফলন। আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পেলে কোন নিন্দা আপনাকে ছুঁতে পারবে না।
২. **নীরবতা**: সমালোচকদের মুখ বন্ধ করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো নীরব থাকা। যতই খারাপ লাগুক, প্রতিক্রিয়া না দেওয়া শ্রেয়। এর ফলে আপনি:
– আপনার আবেগের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন।
– মূল্যবান সময় সাশ্রয় হবে।
– বিতর্ক এড়াতে পারবেন, যা মানসিক শান্তি বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
– আরও ভালো কিছু করার জন্য আপনার মানসিক শক্তি সংরক্ষণ করতে পারবেন।
৩. **ইতিবাচক মানুষ**: ইতিবাচক চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টিকারী মানুষদের সাথে থাকুন। তারা আপনাকে সঠিক পথে পরিচালিত করবে এবং নেতিবাচক মন্তব্য থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করবে।
৪. **প্রকৃত সত্তাকে চিনুন**: আপনার বিরল বৈশিষ্ট্যগুলো খুঁজে বের করুন এবং প্রয়োজনে সেগুলো প্রকাশ করুন। যেটা ভালো লাগে, সেটাই করুন এবং নিজের পরিচয় তৈরি করুন। নিজের প্রকৃত সত্তাকে ভালোবাসলে অন্যদের মতামত আপনাকে প্রভাবিত করতে পারবে না।
৫. **ফলেই পরিচয়**: আপনার লক্ষ্য ও কাজের দিকে মনোনিবেশ করুন। সমালোচকদের মন্তব্যে না গিয়ে নিজের কাজের প্রতি মনোযোগ দিন এবং ছোট ছোট লক্ষ্য স্থির করে সেগুলো পূরণ করার চেষ্টা করুন। এতে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং আপনার যোগ্যতার প্রমাণও মিলবে।