বাস্তব জগতে কাউকে ভদ্রভাবে এড়িয়ে চলা অনেক ক্ষেত্রেই কঠিন হয়ে পড়ে, কিন্তু ভার্চুয়াল জগতে কাউকে এড়িয়ে চলা তুলনামূলকভাবে সহজ। আপনি চাইলে সহজেই কাউকে ব্লক করতে পারেন। যিনি কাউকে এড়িয়ে চলতে চান, তিনি নিজের স্বাধীনতা প্রয়োগ করে ব্লক করে দিতে পারেন। তবে যিনি ব্লক হয়েছেন, তাঁর কাছে বিষয়টি বুঝতে পারার পর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
বাস্তব জীবনে যখন দুজনের সম্পর্ক খারাপ হয়, তখন একজন অন্যজনকে ভার্চুয়াল দুনিয়ায় ব্লক করে দিতে পারেন। ঝগড়া বা কথাকাটাকাটির পরও এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব। কাউকে ব্লক করার এই ব্যবস্থা কখনো কখনো ব্যক্তিগত সম্পর্কচ্ছেদের একটি ধাপ হতে পারে। তবে এই পরিস্থিতিতে ব্লক করার সম্ভাব্য কারণ খুঁজে পাওয়া তেমন কঠিন নয়। আবার, উল্লেখযোগ্য কোনো কারণ ছাড়াও কাউকে ব্লক করা হতে পারে। যিনি ব্লক হয়েছেন, তিনি যদি কারণটি বুঝতে না পারেন, তাহলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারেন।
### আপনার যদি এমন কিছু ঘটে, তাহলে কী করবেন?
এটি সহজভাবে নিন। জীবনে অনেক ঘটনা ঘটে যা আমাদের হাতে নেই। তবে ভালো থাকতে হলে এসব নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। একটি ঘটনা নিয়ে মূল্যবান সময় নষ্ট করার কোনো প্রয়োজন নেই। কাউকে ব্লক করলেই আপনার ক্ষতি হচ্ছে না কিংবা আপনি অকারণে দোষী হচ্ছেন না। তাই ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করুন। আপনার জীবনে করার মতো অনেক কাজ রয়েছে এবং ভাবার মতো নানা বিষয়ও আছে। মন খারাপ লাগলেও নিজেকে ভালো রাখতে নতুন কিছুতে মনোনিবেশ করুন।
### ভাবনাটি মাথায় এলে কী করবেন?
আপনার কোনো আচরণে ওই ব্যক্তি কষ্ট পেয়েছেন বা বিরক্ত হয়েছেন। হয়তো বিষয়টি আপনি বুঝতে পারছেন না। এমনও হতে পারে, আপনি সরাসরি কিছু বলেননি, কিন্তু আপনার কোনো কাজে তিনি দুঃখিত হয়েছেন। আপনার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট, মন্তব্য অথবা অন্য কোনো বিষয়ে বাড়াবাড়ি প্রকাশিত হলে তিনি আপনাকে এড়িয়ে চলতে চাইতে পারেন। তিনি হয়তো মনে করেছেন যে, আপনি তৃতীয় পক্ষের সমালোচনা করে ‘ক্ষমাহীন’ অবস্থান তৈরি করেছেন। তাই আপনার সাম্প্রতিক কাজ, কথাবার্তা ও ভার্চুয়াল পোস্টগুলোতে কিছু ছিল কি না, তা ভেবে দেখুন। আবার, ওই ব্যক্তি হয়তো নিজেই কোনো বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছেন, তাই অকারণে আপনাকে ব্লক করেছেন।
### আত্মসম্মান বজায় রাখুন
যদি আপনি কারণ খুঁজে না পান, তাও কাউকে ব্লক করলেও নিজের আত্মসম্মান ক্ষুণ্ণ হতে দেবেন না। কষ্ট পেলেই যে সব বিষয়ে আলাপ করতে হবে, তা নয়। বরং স্বাভাবিক থাকুন। বাস্তব জীবনে ওই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হলে ভার্চুয়াল বিষয় নিয়ে আলোচনা না করাই ভালো। যদি অন্য কেউ বিষয়টি জেনে খোঁচাতে চান, তাহলে তাকে সুন্দরভাবে বলুন, ভার্চুয়াল জগতের এই সামান্য ঘটনা আপনার জীবনে এর চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। আসলে এটি আপনার জন্য কিছুই আসে–যায় না।