শুরু হয়ে গেছে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বোধনের মাধ্যমে শুরু হলো পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পূজা মানেই জমিয়ে ভোজ ও সাজগোজ। একটি সুন্দর শাড়ি, গয়না এবং খোঁপায় ফুলের সাজ— যদি খুব বেশি সাজতে না চান, তবুও এসবই যথেষ্ট। তবে শাড়ির সঙ্গে মানানসই গয়না না পরলে গোটা সাজটাই অসম্পূর্ণ মনে হবে। পুজোর ভিড়ের মধ্যে যদি সকলের নজর আপনার দিকে টানতে চান, তাহলে গয়নাতেও একটু বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।
জেনে নিন কী ধরনের সাজের সঙ্গে কেমন গয়না পরবেন:
**১. ষষ্ঠী:**
যারা বেশি জমকালো সাজ পছন্দ করেন না, তারা ষষ্ঠীর সকালে হ্যান্ডলুম শাড়ির সঙ্গে জাঙ্ক জুয়েলারি বা আফগানি গয়না পরতে পারেন। হাতে একরঙা চুড়ি পরে ফেলুন। কাপড়ের তৈরি গয়নাও এখন জনপ্রিয়; হ্যান্ডলুম শাড়ির সঙ্গে এগুলোও মানাবে।
**২. সপ্তমী:**
সপ্তমীর সকালে সিল্কের শাড়ির সঙ্গে অ্যান্টিক ব্রাস গয়না বা মুক্তোর গয়না নির্বাচন করতে পারেন। বিষ্ণুপুরি বা মুর্শিদাবাদি সিল্কের সঙ্গে মুক্তোর হার, দুল অথবা ব্রেসলেট পরতে পারেন।
**৩. অষ্টমী:**
বেনারসি কিংবা জামদানি পরলে সঙ্গে সোনার গয়না ভালো মানায়। লম্বা সীতাহার, লহরি, কানবালা, হাতে বালা কিংবা চূড়ি সনাতনী সাজে মানাবে। বর্তমানে গোল্ড প্লেটেড গয়না খুবই জনপ্রিয়, সেগুলোও পরতে পারেন।
**৪. নবমী:**
কাতান বা ব্রোকেডের শাড়ির সঙ্গে টেম্পল জুয়েলারি বা পাথর বসানো গয়না ভালো মানাবে। নবমীর রাতে নেট শাড়ির সঙ্গে পাথর বা হিরের গয়না ভালো। হালকা কাজের শাড়ির সঙ্গে ভারী কাজের গয়না পরলে তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। জর্জেটের শাড়ির সঙ্গে অক্সিডাইজড গয়না নির্বাচন করতে পারেন।
**৫. দশমী:**
দশমীর দিন সাবেকি সাজে সেজে উঠতে পছন্দ করেন মহিলারা। বরণের সময় সাদা লাল শাড়ির সঙ্গে সোনার গয়না বেশি মানায়।
এই সাজের মাধ্যমে পূজার আনন্দে চার চাঁদ লাগান!