দেশের সব সুপারশপে আজ, ১ অক্টোবর থেকে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।এখন থেকে সুপারশপগুলোতে পলিথিনের পরিবর্তে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর এরই মধ্যে ডেইলি শপিং, স্বপ্ন, এবং আগোরাতে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে। সুপারশপগুলো বিভিন্ন স্থানে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পলিথিন ব্যাগ সরিয়ে ফেলেছে এবং পাটের তৈরি বিভিন্ন আকৃতির ব্যাগ প্রদান করা হচ্ছে, যার মূল্য ৬ থেকে ১৭ টাকা পর্যন্ত। ক্রেতাদের এসব ব্যাগ কিনে নিতে হবে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় পলিথিন শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা হয়।
৫ আগস্ট গণআন্দোলনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পলিথিন নিষিদ্ধে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর এক সভায় দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার এবং পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেওয়া হয় যে, দেশের কোনো সুপারশপে পলিথিন ব্যাগ রাখা যাবে না। পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করে পাট বা কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা জানিয়েছেন, পলিথিনের অপ্রতিরোধ্য ব্যবহার পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা মাটির উর্বরতা কমিয়ে দিচ্ছে এবং জলাশয়কে দূষিত করছে। এসব কারণে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।
এছাড়া ১ নভেম্বর থেকে কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং সেই সঙ্গে পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধেও অভিযান শুরু হবে। প্রশাসনিক ও পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে পলিথিনের উৎপাদন, পরিবহন ও ব্যবহার বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এর আগে, ২০০২ সালের ১ মার্চ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর বিধান অনুসারে সরকার বাংলাদেশে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। সে সময় পরিবেশ অধিদপ্তর সব ধরনের পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রি, মজুদ ও বিতরণ নিষিদ্ধ করেছিল।