মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরে আসার পর নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। বাচ্চাকে ফেলে রেখে আসতে মন চায় না, আর আগের কর্মপরিবেশ ফিরে পাওয়াও কঠিন হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
**শিশুর জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করুন**
দিনের দীর্ঘ সময় অফিসে কাটাতে হয়, তাই বিকেলে বাড়ি ফিরে যতটা সম্ভব বাচ্চাকে সময় দিন। যদি বিশ্বাসযোগ্য কেয়ারগিভার রাখতে পারেন, তা হলে ভালো। পরিবারে সদস্য থাকলে তো সমস্যা নেই। ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ এখন সহজ, তাই সন্তানের খবর রাখা সম্ভব।
**কাজে ফেরার প্রস্তুতি**
মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে কাজে ফিরে মন খারাপ, অনিচ্ছা বা অলসতা গ্রাস করতে পারে। সন্তানের জন্মের আগেই এমন একটি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম ঠিক করে রাখুন, যারা আপনার অনুপস্থিতিতে শিশুর দেখাশোনা করবে। বর্তমানে বেশ কিছু শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র বা ডে কেয়ার রয়েছে; পরিচিতদের মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়ে সিদ্ধান্ত নিন।
**অতিরিক্ত চাপ থেকে বিরত থাকুন**
কর্মজীবী মায়েরা অনেক সময় লম্বা বিরতির পর কাজের মাধ্যমে নিজেদের প্রমাণ করতে গিয়ে অতিরিক্ত চাপ নেন। তাই তাড়াহুড়া না করে ধীরে ধীরে নিজেকে মানিয়ে নিন। আপনার বসের সঙ্গে যোগাযোগ করে জরুরি প্রয়োজনে ছুটি নেওয়ার বিষয়টি জানিয়ে রাখুন।
**সঙ্গীর সঙ্গে কাজ ভাগ করুন**
আপনার সঙ্গীর সঙ্গে কাজ ভাগাভাগি করুন। সন্তান দেখাশোনার দায়িত্বে একসঙ্গে থাকুন। মা হিসেবে আপনার কাজ সপ্তাহের ৭ দিন, ২৪ ঘণ্টা, তাই সঙ্গীর সহায়তা অনেক জরুরি। অফিসের কাজের পর বাড়িতে এসে সন্তানের দেখাশোনা করতে গিয়ে অনেক সময় মায়েরা নিজেদের দিকে নজর দিতে পারেন না, যা বিষণ্ণতার কারণ হতে পারে। তাই নিজের জন্য কিছু সময় বের করুন এবং নিজের যত্ন নিন।
**পরিবারের সাহায্য নিন**
মা হওয়ার পর নারীদের মধ্যে সাময়িক বিষণ্ণতা দেখা দিতে পারে, যা কখনো কখনো স্থায়ী হয়ে যায়। সন্তান ধারণ ও জন্মদানের পর আগের জীবনে ফিরে আসা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। এই সময়ে পরিবারের সদস্যদের সাহায্য প্রয়োজন। কর্মজীবী মায়ের জন্য সঙ্গীর সহায়তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। দুজনে মিলে সংসার ও সন্তানের কাজগুলো ভাগ করে নিলে চাপ কমে।
**সহকর্মীদের সহযোগিতা**
অফিসের সহকর্মীরা যদি মা হন, তবে তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। একে অপরকে সাহায্য করা হলে কর্মজীবী মায়েরা চাকরি ছাড়ার মতো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন না।