সুগন্ধি মানুষের মনকে প্রফুল্ল ও আত্মবিশ্বাসী রাখতে সহায়তা করে। এটি শুধু আপনার মন বা রুচিবোধই নয়, বরং ব্যক্তিত্বকেও প্রকাশ করে। নিজেকে সতেজ রাখতে সুগন্ধির ব্যবহার বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে গরমের সময়। পারফিউম, বডি স্প্রে, ও ডিওডোরেন্টের চাহিদা এ সময়ে অনেক বেড়ে যায়। নিচে সুগন্ধি ব্যবহারের কিছু সাধারণ নিয়ম দেওয়া হলো।
### স্থান ও পরিবেশ:
অফিসের জন্য হালকা সুগন্ধি বেছে নিন। যেখানে খোলামেলা জায়গা বা প্রাকৃতিক বাতাস রয়েছে, সেখানে তুলনামূলকভাবে কিছুটা কড়া সুগন্ধি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখবেন, আপনার দু-তিন ফুটের বাইরে থাকা মানুষ যেন আপনার সুগন্ধি অতিরিক্তভাবে না টের পায়। যদিও কড়া সুগন্ধি আপনার পছন্দ হতে পারে, এটি অন্যদের বিরক্তির কারণ হতে পারে।
### লিঙ্গভেদে সুগন্ধি:
পুরুষ ও নারীর জন্য আলাদা ধরনের সুগন্ধি তৈরি হয়। নারীদের জন্য সাধারণত কোমল ধরনের সুগন্ধি হয়, আর পুরুষদের জন্য তীব্র গন্ধযুক্ত। তাই কেনার সময় যে কার জন্য সুগন্ধি বেছে নিচ্ছেন, সেটা মাথায় রাখুন।
### সুগন্ধি কাপড়ে নয়, ত্বকে লাগান:
অনেকেই জামা-কাপড়ের ওপর সুগন্ধি স্প্রে করেন, কিন্তু এতে সুগন্ধি দীর্ঘস্থায়ী হয় না। বরং কাপড়ে দাগ পড়ে যেতে পারে। সুগন্ধি লাগানোর সঠিক পদ্ধতি হলো ত্বকে সরাসরি ব্যবহার করা। কবজি, কানের লতি, বা ঘাড়ে হালকাভাবে স্প্রে করলে তা দীর্ঘক্ষণ টিকে থাকে।
### অতিরিক্ত সুগন্ধি নয়:
অতিরিক্ত সুগন্ধি ব্যবহার করবেন না, কারণ এতে অন্যরা বিরক্ত হতে পারে এবং তা আপনার ব্যক্তিত্বকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত সুগন্ধির গন্ধ মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
### বদলে নিন:
একই ধরনের সুগন্ধি সবসময় ব্যবহার না করে মাঝেমধ্যে পরিবর্তন আনুন। পরিবেশ ও পরিস্থিতির সঙ্গে মানানসই সুগন্ধি বেছে নিন। সুগন্ধি হলো আপনার ব্যক্তিত্ব প্রকাশের একটি শক্তিশালী ও স্মরণীয় মাধ্যম।