মানুষের মুখের আকৃতিকে অন্য কিছুতে তুলনা করা সহজ নয়, তবে সাধারণত আমরা মুখের গড়নকে লম্বাটে, গোলাকার, চৌকাকৃতির এবং ডিম্বাকৃতির হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করি। তবে, কোন হেয়ার কাট আপনার মুখের জন্য উপযুক্ত হবে তা কেবল মুখের গড়নের ওপর নির্ভর করে না; এর সঙ্গে আরও কিছু বিষয় যেমন উচ্চতা, গায়ের রঙ, স্বাস্থ্য, বয়স এবং পেশাও গুরুত্বপূর্ণ।
যেমন, কেবিন ক্রুদের জন্য উন্নত দেশগুলোতে ক্রিউ কাট জনপ্রিয়। কিন্তু এই কাট কলেজপাড়ার মেয়েদের জন্য তেমন মানানসই হবে না। সুতরাং, চুলের কাটার ক্ষেত্রে পেশার গুরুত্ব অপরিসীম।
চুলের ধরনও একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। উদাহরণস্বরূপ, খুব কোঁকড়ানো চুলের জন্য ভলিউম বাড়ানো কাট বা লেয়ার কাট qকরলে কিছুটা অসুবিধা হতে পারে। আবার, স্ট্রেট চুলে বিভিন্ন ধরনের লেয়ার কাট ভালো দেখায়, কিন্তু ভলিউম বাড়ানোর জন্য কাট করলে তা কার্যকরী হবে না। হালকা ঢেউ খেলানো চুলের জন্য ভলিউম লেয়ার উপযুক্ত।
বিউটি এক্সপার্টরা প্রায়শই খদ্দেরদের কাছ থেকে ছবি নিয়ে আসার অনুরোধ পান এবং তাদের পছন্দ অনুযায়ী কাট করতে চান। কিন্তু অনেক সময় ব্লোসেট করে হেয়ার কাট করা সম্ভব হলেও সেটি প্রতিদিন করা যায় না। তাই সাধারণভাবে চুলকে সুন্দর দেখানোর দিকে নজর দেওয়া উচিত।
বাংলাদেশে মেয়েদের মধ্যে জনপ্রিয় হেয়ার কাটগুলো হলো: বব কাট, ইনডাটেড লং বব, লং বব, স্ট্রেইট কাট, পিক্সি কাট, ক্রিউ কাট, ব্যাংস কাট, লেয়ার কাট এবং টেইলর সুইফ্ট লং লেয়ার।
মুখের আকৃতি অনুযায়ী কিছু পরামর্শ:
গোলাকার মুখ: ব্যাংস করানো যেতে পারে এবং ছোট চুলে লেয়ার কাট মানানসই।
ওভাল শেপ: যেকোনো স্টাইল মানিয়ে যায়।
চারকোণা শেপ: চুল লম্বা রাখলে ভালো দেখাবে; সামনের দিকে খানিকটা লেয়ার করে চিবুকের প্রশস্ততা কমানো যেতে পারে।
হার্ট শেপ: ব্যাংস এবং চাইনিজ কাট ভালো মানায়।
লম্বাটে মুখ: ফ্রন্ট লেয়ার করে পেছনে স্টেপ কাট করা যেতে পারে।
হেয়ার কাট আপনার লুক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং হেয়ার কালার যুক্ত করলে তা আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। কোঁকড়ানো চুল থাকলে পারমানেন্ট স্ট্রেইট করে নতুন স্বাদ নেওয়া যেতে পারে।