ফ্রিজের বাইরের অংশ সাজানো সবাই জানে, কিন্তু ভেতরের অংশ সাজানো কেমন নতুন ধারার বিষয়? কিছুদিন ধরে টিকটকে নতুন ট্রেন্ড হিসেবে দেখা যাচ্ছে, যেখানে সবাই ঘরের পাশাপাশি নিজেদের ফ্রিজের ভেতরও সাজাচ্ছেন। এই নতুন ধারা “ফ্রিজস্কেপিং” নামে পরিচিত।
ফ্রিজস্কেপিং কী? কেন এটি হঠাৎ জনপ্রিয় হয়ে উঠল?
ফ্রিজ অন্যান্য যন্ত্রের তুলনায় কিছুটা আলাদা। ফ্রিজের বাইরের সৌন্দর্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও, এর ভেতরের কাজটাই মূল বিষয়। তবে ফ্রিজের বিশাল স্থান জুড়ে সাজানোর জন্য মানুষ নানা উপায় অবলম্বন করছেন, যেমন ম্যাগনেট বা স্টিকার। কিন্তু “ফ্রিজস্কেপিং” ফ্রিজের ভেতরকে সুন্দর করে সাজানোর নতুন ট্রেন্ড।
ফ্রিজস্কেপিং টিকটক থেকে শুরু হয়েছে এবং এখন ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মাধ্যমে ফ্রিজে শুধু সুন্দর কনটেইনারই নয়, বরং বেতের ঝুড়ি, নকশা করা গ্লাস-প্লেট, ছোট ভাস্কর্য ও পেইন্টিং ব্যবহৃত হচ্ছে। ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণ করতে নকশা করা কলস, ট্রে ব্যবহার করা হচ্ছে, এবং বিয়ের ছবি, তাজা ফুল, মাটির ছোট খেলনা ও বিভিন্ন শোপিসও রাখা হচ্ছে।
এই ট্রেন্ডের পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছেন টিকটক ও ইনস্টাগ্রামের ইনফ্লুয়েন্সাররা। তাদের মধ্যে লিনজি জুডিস উল্লেখযোগ্য, যিনি ঘরের প্রতিটি কোণা সাজানোর পাশাপাশি ফ্রিজের ভেতরও সাজান। লিনজি সিএনএনকে জানিয়েছেন, সাধারণ জিনিস সুন্দর করে সাজাতে তার ভালো লাগে, আর তাই এটি ফ্রিজে এসে পৌঁছেছে।
ফ্রিজস্কেপিং স্বাস্থ্যকর কি?
ফ্রিজ মূলত খাবার টাটকা রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়, তাই এখানে অতিরিক্ত কিছু রাখা হলে জীবাণুর ভয় থাকতে পারে। লিনজি দাবি করেছেন যে তিনি ফ্রিজস্কেপিংয়ের ফলে বেশি ‘হেলদি’ অনুভব করছেন, কিন্তু জীবাণু ছড়ানোর ভয় তো থেকেই যায়। বিশেষ করে ফুলদানি ও ধাতব তৈজসপত্র ব্যবহার না করাই ভালো, কারণ ফুলে থাকা ব্যাকটেরিয়া খাবারে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং ধাতব তৈজসপত্র থেকে সিসার দানা খাবারে মিশে যেতে পারে, যা ফুড পয়জনিংয়ের কারণ হতে পারে। তবে কাচের বা মিনিয়েচার ফুল রাখা যেতে পারে।
ফ্রিজস্কেপিং করার জন্য
যদি আপনি এই ট্রেন্ড অনুসরণ করতে চান, তাহলে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও সময়ের বিষয়টি মনে রাখতে হবে। ঘরের আসবাবপত্র একবার সাজালে কিছুদিন চিন্তা করতে হয় না, কিন্তু ফ্রিজের ভেতরের সাজসজ্জা প্রতিদিনের তদারকি দাবি করে। নিয়মিত খাবার বের করা, রাখা, এবং সবকিছু সামলে রাখা সময়সাপেক্ষ হতে পারে। যদি আপনার পুরোপুরি সময় না থাকে, তাহলে ফ্রিজস্কেপিং না করাই ভালো।