দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ০৩:১৭

মাইলির কনসার্টের সব টিকিট কেন বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছিল, এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত

মাত্র ১৩ বছর বয়সে ডিজনির জনপ্রিয় সিরিজ হ্যানা মন্টানাতে অভিনয় শুরু করেছিলেন মাইলি সাইরাস। এই চরিত্রের জন্য ১১ আগস্ট ডিজনি লিজেন্ড অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন তিনি, এবং সবচেয়ে কম বয়সে এই পুরস্কার অর্জনের রেকর্ড গড়েন। কীভাবে একটি চরিত্র তাঁর জীবন পরিবর্তন করল, পুরস্কার প্রাপ্তির পর মঞ্চে তিনি সেই বিষয়টি তুলে ধরেন। পড়ুন তাঁর বক্তৃতার নির্বাচিত অংশের অনুবাদ:

 

শুরুতে ডিজনির কিংবদন্তি চরিত্রগুলো সম্পর্কে একটি গোপন কথা শেয়ার করতে চাই। ডিজনির কিংবদন্তিরাও ভয় পায়, যেমন আমি এখন অনুভব করছি। এই ভয়ের সঙ্গে আমরা নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। যদি আপনি চেষ্টা করেন, তবে পরাজয়ের কোন সুযোগ থাকে না। চেষ্টা না করাটাই আসল পরাজয়।

 

আমি দুটি বক্তৃতা লিখে এনেছিলাম। একটি বড় এবং সাহস করে বলার জন্য প্রস্তুত ছিলাম, আরেকটি ছোট। যদি ভয় লাগত, তবে ছোট বক্তৃতাটি পড়ব বলে ঠিক করেছিলাম।

 

আপনাদের ধন্যবাদ। অন্যান্য কিংবদন্তিদের মতো, আমার বক্তৃতাও আপনাদের জন্য। ভক্তদের জন্য।

 

২০০৫ সালে ডিজনি কোম্পানির নতুন পরিকল্পনায় আমি এবং সিইও বব আইগার নিয়োগ পেলাম। তখন হ্যানা মন্টানার অডিশন চলছিল। আমি ন্যাশভিলে জন্মেছি এবং সেখান থেকেই অডিশনের টেপ পাঠিয়েছিলাম। ফিরতি বার্তায় তারা জানিয়েছিল, আমি একটু ছোট বয়সী। চরিত্রটা আমার জন্য উপযুক্ত নয়। প্রায় এক বছর পরে, হ্যানা মন্টানার কথা আমি ভুলেই গিয়েছিলাম। তবে, আবার কল এল। নির্মাতারা জানালেন, সিরিজের সব চরিত্র বাছাই হয়ে গেছে, পাইলট এপিসোডও শেষ, তবুও তাদের মন মেলেনি। তাই তারা চাইছিল, আমি লস অ্যাঞ্জেলেসে গিয়ে অডিশন দিই। মা আমাকে খবর দিলেন এবং বললেন, যদি নির্বাচিত হই, তবে স্কুল ও বন্ধুদের ছেড়ে চলে যেতে হবে।

 

অডিশনের জন্য প্রস্তুতির সময় আমি একটি টি-শার্টে চোখ পড়ল যেখানে লেখা ছিল, ‘আই শুড হ্যাভ মাই ওউন টিভি শো।’ আমি সেটি কিনে পরলাম এবং লস অ্যাঞ্জেলেসে চলে গেলাম। কয়েকটি অডিশনের পর চরিত্রটি পেয়েই গেলাম।

 

লস অ্যাঞ্জেলেসে এসে পাইলট এপিসোডের শুটিং শুরু করলাম এবং এখানকার সমুদ্রসৈকত, পাম গাছ সবকিছুই ভালো লেগে গেল। কিন্তু শুটিংয়ের জায়গা ছিল আমার প্রিয়—উজ্জ্বল বাতি, ড্রেসিংরুম, কাপড় সাজানো, পরচুলা, অভিনয়, নাচ, স্বরের চর্চা। পাইলট এপিসোডের শুটিং শেষে ন্যাশভিলে ফিরে গেলাম, কিন্তু তখনই আমি অভিনয়জীবনের স্বাদ পেয়ে গিয়েছিলাম। শোটা টিকে গেলে, মঞ্চে ওঠার জন্য অপেক্ষা করতে পারছিলাম না। কিন্তু তখন হ্যানা মন্টানা জনপ্রিয় ছিল না, তাই গ্লেনডেল মলে একটি কনসার্ট আয়োজন করা হয় এবং টিকিটগুলো বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। প্রথম গানটির নাম ছিল ‘দিস ইজ দ্য লাইফ’। কেউ বুঝতে পারেনি, সোনালি পরচুলার আড়ালে ছোট্ট একটি মেয়ে বড় স্বপ্ন নিয়ে মঞ্চে দাঁড়িয়ে আছে। মন থেকে আমি নিজেকে হ্যানা মন্টানা ভাবছিলাম এবং গর্ব অনুভব করছিলাম।

 

সেদিন থেকেই সবকিছু বদলে গেল। আবার, কিছুই বদলায়নি। আজও হ্যানা মন্টানার প্রতি আমি গর্বিত, কারণ সে মাইলিকে অনেকটা গড়ে দিয়েছে। এই পুরস্কার হ্যানা ও তার ভক্তদের জন্য, যাঁরা আমার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। কিংবদন্তির ভাষায় বলতে চাই, ‘দিস ইজ দ্য লাইফ’।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট