দ্যা নিউ ভিশন

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৫ ১৬:০১

এখনই কেন এসি সার্ভিসিং করাবেন

এসির ফিল্টার মাসে দুইবার পরিষ্কার করা ভালো

শীতের কারণে কয়েক মাস এসি বন্ধ ছিল। এখন আবার ব্যবহার শুরু হবে। হুট করেই কিন্তু এসি চালানো যাবে না। নিজেকে ও পরিবারকে নিরাপদ রাখতে আগে সার্ভিসিং করাতে হবে। ত্রুটি কিংবা কোনো সমস্যা না থাকলেও বছরে একবার হলেও এসির সার্ভিসিং করতে হবে। গরমের আগে ফেব্রুয়ারি ও মার্চের মধ্যে করানো সবচেয়ে ভালো। আসলে নিয়মিত সার্ভিসিং করানো প্রয়োজন, তা না হলে ঘটতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা।

সার্ভিসিং কেন প্রয়োজন?

চালানোর পর ঘর ঠান্ডা হলেই এসি ঠিকঠাক কাজ করছে মনে করেন অনেকেই। এটি ভুল ধারণা। ঢাকা এসি সার্ভিস অ্যান্ড রিপেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা মো. মারুফ বলেন, শীতের কয়েক মাস ব্যবহার না হওয়ার কারণে এসির বিভিন্ন অংশে ধুলা জমে ফিল্টার ব্লক হয়ে যেতে পারে। সবচেয়ে বড় সমস্যা এসির ঠান্ডা বা শীতলীকরণ করার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। নিয়মিত সার্ভিসিং না করলে দীর্ঘ মেয়াদে এসির কার্যকারিতা ও আয়ু কমে যায়। কয়েক সপ্তাহ বন্ধ থাকলে এসির ফিল্টারে ধুলা, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাকসহ নানা ধরনের জীবাণু জমে। বাতাসের মাধ্যমে তা ঘরে বা অফিসে ছড়িয়ে পড়ে। তখন শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, অ্যালার্জি বা অ্যাজমার মতো রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এ ছাড়া পরিষ্কার ও ভালোভাবে রাখা এসি তুলনামূলকভাবে কম বিদ্যুৎ খরচ করে। অপরিষ্কার কনডেনসার ও ফিল্টার থাকলে এসি অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। নিয়মিত সার্ভিসিংয়ে এসি দ্রুত কাজ করে এবং কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। বৈদ্যুতিক যন্ত্র হিসেবে এসির বিভিন্ন যন্ত্রাংশের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। সার্ভিসিং না করালে এসির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দীর্ঘদিন সার্ভিসিং না করালে এসির শীতলীকরণের ক্ষমতা কমে যাওয়া স্বাভাবিক। এসির কুলিং কয়েল ও ফিল্টার পরিষ্কার না থাকলে পর্যাপ্ত ঠান্ডা বাতাস পাবেন না। সার্ভিসিং করালে এসির পারফরম্যান্স ঠিক থাকে ও দ্রুত ঠান্ডা হয়। অনেক সময় এসি চালানোর পর দুর্গন্ধ বের হয়, যা ফিল্টারে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও ধুলার কারণে হতে পারে। আবার এসির বিভিন্ন অংশে ধুলা জমে বা স্ক্রু ঢিলা হয়ে গেলে অস্বাভাবিক শব্দ হতে পারে। সার্ভিসিং করালে এসব সমস্যা এড়ানো যায়।

সার্ভিসিং না করালে যে সমস্যা হয়

যদি দীর্ঘদিন এসির সার্ভিসিং না করা হয়, তাহলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। অনলাইনের মাধ্যমে সার্ভিস বুকিং দেওয়ার প্রতিষ্ঠান সেবা এক্সওয়াইজেডের সহপ্রতিষ্ঠাতা ইলমুল হক বলেন, এসির ফিল্টার বা কনডেনসারে ধুলা জমে থাকলে এটি কার্যকরভাবে বাতাস শীতল করতে পারে না। এতে এসি চালু থাকলেও ঘর ঠান্ডা হতে বেশি সময় লাগে বা একেবারেই ঠান্ডা হয় না। ফিল্টার ও কুলিং কয়েলে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক জন্ম নিলে এসি চালানোর সঙ্গে সঙ্গে দুর্গন্ধ বের হয়, যা বসার ঘর বা অফিসের পরিবেশ নষ্ট করতে পারে। এসির কারণে ঘরের বায়ুদূষণ হলে পরিবারের সদস্য অসুস্থ হতে পারে। শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ে। দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করলে এসির ড্রেন পাইপ বন্ধ হয়ে যেতে পারে, যার ফলে এসির পানি ভেতরেই জমতে শুরু করে। এটি এসির কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে। এসির কম্প্রেসর সার্ভিসিং না করালে অতিরিক্ত ধুলা ও তাপমাত্রার কারণে এটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

সার্ভিসিং কোথায় করাবেন?

আপনার এসি নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের হলে ও ওয়ারেন্টি থাকলে সেই ব্র্যান্ডের সার্ভিস সেন্টারে যোগাযোগ করতে পারেন। বেশির ভাগ বড় ব্র্যান্ড গ্রাহকদের সার্ভিসিংয়ের সেবা দিয়ে থাকে। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় শহরে স্থানীয় অনেক এসি সার্ভিসিং প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা বাড়ি বা অফিসে গিয়ে এসি সার্ভিসিং করে। সেবা এক্সওয়াইজেড, ফিক্সিট ডটকম ডট বিডির মতো অনলাইন সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম থেকেও এসি সার্ভিসিং করাতে পারেন।

খরচাপাতি

এসির অবস্থা বুঝে সাধারণ সার্ভিসিং করতে ৫০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, গ্যাস রিফিলিংয়ে ২ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা ও সম্পূর্ণ ডিপ ক্লিনিংয়ে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ পড়ে।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ পররাষ্ট্র উপদেষ্টার

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা