ডিপ ফ্রিজে অনেক খাবার দীর্ঘদিনের জন্য রাখা যায়, তবে সব খাবারের পুষ্টি ও মান অক্ষুণ্ণ থাকে না। কিছু ফল ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে দীর্ঘদিন খাওয়া যেতে পারে। কিভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক:
#### ১. কলা:
মিষ্টি এই ফল আশ্চর্যজনকভাবে জমে যায়, বিশেষত যখন সেগুলো অতিরিক্ত পাকা শুরু করে। কলার খোসা ছাড়িয়ে টুকরো টুকরো করে এয়ারটাইট বক্সে সংরক্ষণ করুন। আপনি কলা ক্রিমি স্মুদি, আইসক্রিম বা বাড়িতে তৈরি কেকের জন্য প্রাকৃতিক মিষ্টি হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।
#### ২. বেরি:
স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি এবং মালবেরির মতো বেরিগুলো অনায়াসে জমে যায়। এয়ারটাইট বক্সে সংরক্ষণ করার আগে বেরিগুলোকে ধুয়ে শুকিয়ে নিন। এরপর ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। এগুলো স্মুদিতে মেশাতে পারেন, প্যানকেকের জন্য সিরাপ তৈরি করতে পারেন বা দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।
#### ৩. পেয়ারা:
সুস্বাদু পেয়ারা ফ্রিজে রাখতে পারেন। একেকটি পেয়ারা চার টুকরো করে দিন, চাইলে পেয়ারার বীজ বাদ দিতে পারেন কিংবা রাখতে পারেন। এরপর এয়ারটাইট ব্যাগে সংরক্ষণ করুন। ডিফ্রোস্ট করে স্মুদি, চাটনি বা জুস তৈরিতে ব্যবহার করতে পারবেন। অফ-সিজনে টোস্টের জন্য পেয়ারা দিয়ে জ্যামও তৈরি করতে পারবেন।
#### ৪. পেঁপে:
অতিরিক্ত পাকা পেঁপে প্রায়ই ফেলে দেওয়া হয়, তবে এই অপচয় রোধে তা ফ্রিজে রাখতে পারেন। পেঁপে ভালো করে ধুয়ে খোসা ও বীজ ছাড়িয়ে ছোট কিউব করে কেটে জিপলক ব্যাগ বা এয়ারটাইট বক্সে সংরক্ষণ করুন। ফ্রোজেন পেঁপে সকালের স্মুদি বা রিফ্রেশিং ডেজার্ট হিসেবে উপযুক্ত।
#### ৫. আঙুর:
হ্যাঁ, আঙুরও ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যায়। প্রথমে আঙুরগুলো ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর এয়ারটাইট বক্সে সংরক্ষণ করুন। ফ্রুটি, ঠান্ডা পাঞ্চের জন্য ল্যাসিস বা মোজিতোসে ব্যবহার করতে পারেন। লেবুর রস এবং চিনি দিয়ে ফ্রোজেন আঙুর টস করে সুগার-কোটেড আঙুর তৈরি করতে পারেন। এটি খেতে বেশ মজার।
এসব পদ্ধতি মেনে চললে আপনি ফলগুলো দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষণ করতে পারবেন এবং উপভোগ করতে পারবেন। 🍌🍓🥭🍇