দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৪, ২০২৪ ২৩:৪৫

তরুণীদের মধ্যে হোপ মার্কেটের জনপ্রিয়তার কারণগুলো কী?

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর মিরপুরের একটি হোস্টেলে উঠার পর আমি প্রায়ই দেখতাম, ছুটির দিনে বড় আপুরা দল বেঁধে হোপ মার্কেটে চলে যেত। সেখান থেকেই আমারও হোপ মার্কেটে যাওয়া শুরু। প্রথমদিকে ভিড় দেখে কিছুটা অস্বস্তি হলেও, তিন বছর পর এখন এই মার্কেটের অলিগলিও চেনা হয়ে গেছে।মিরপুর–১০–এর বি ব্লকের ১১ নম্বর সড়কে অবস্থিত হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পাশে হওয়ায় এটির নাম হয়ে গেছে হোপ মার্কেট। প্রায় ১৫ বছর আগে কয়েকটি ফুটপাতের দোকান দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল হোপ মার্কেট, আর এখন এখানে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা ছাড়াও, আশপাশের এলাকা থেকেও ক্রেতারা আসেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং মেট্রোরেলও এই মার্কেটের জনপ্রিয়তা বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে। এখন এখানে শতাধিক স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকান, ফুটপাত এবং হোপ প্লাজা মিলিয়ে এক বিশাল মার্কেট গড়ে উঠেছে। এখানে পাওয়া যায় থ্রি-পিস, কুর্তা, জিনস, জুতা, ব্যাগ থেকে শুরু করে বাসনকোসন, ঘর সাজানোর জিনিস—সবই। ছোটদের আরামদায়ক পোশাকও রয়েছে। শীতের আগেই শীতের জামাকাপড়ও আসতে শুরু করেছে। কেনাকাটা করতে গিয়ে যদি হাঁপিয়ে যান, তবে স্ট্রিট ফুডের দোকানগুলো রিফ্রেশমেন্টের জন্য প্রস্তুত।

 

এখানে কুর্তা ও কামিজ, প্যান্ট, জুতা, ব্যাগ, সিরামিকের বাসন, সাজগোজের জিনিস, এমনকি গয়নারও বেশ ভালো সংগ্রহ পাওয়া যায়। দামও সাশ্রয়ী। কুর্তা ও কামিজ পাওয়া যাবে ৪০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে, প্যান্ট ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, জুতা ১০০ থেকে ৪০০ টাকায় এবং ব্যাগ ১০০ থেকে ৫০০ টাকায়। সিরামিকের মগ ও প্লেট ১০০ থেকে ২০০ টাকায় পাওয়া যায় এবং গয়নার দামও খুবই মৃদু—২০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে।

 

হোপ মার্কেট সপ্তাহে সাত দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে, তবে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানে বেশি ভিড় থাকে। ছুটির দিনে ভিড় এড়াতে চাইলে অন্য সময়ে যেতে পারেন, আর দরদাম করতে পারলে এখানে কম দামে ভালো জিনিস পাওয়া সম্ভব।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ