শরীর সুস্থ রাখতে ফুসফুসের সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শীতকাল, যেখানে একদিকে উৎসবের আমেজ থাকে, অন্যদিকে শারীরিক নানা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে শ্বাসযন্ত্রের জটিলতা যেমন অ্যাজমা, সিওপিডি এবং নিউমোনিয়া দেখা দিতে পারে। এজন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, সঠিক খাদ্যাভাস এবং নিয়মিত ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেরই ব্যায়াম করার সময় নেই, তবে সঠিক খাদ্যতালিকা মেনে চললে শরীর সুস্থ রাখা সম্ভব। কিছু বিশেষ খাবার ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।
চলুন, জানি শীতকালে কোন খাবারগুলো ফুসফুসের জন্য উপকারী:
**আপেল**: শ্বাসযন্ত্রের জটিলতা কমাতে আপেল বেশ উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান অ্যাজমা এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। যারা ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন, তাদের ফুসফুসের কার্যকারিতাও বাড়ায়।
**ব্লুবেরি**: ব্লুবেরিতে থাকা অ্যান্টোসায়ানিন উপাদান ফুসফুসের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
**অলিভ অয়েল**: অলিভ অয়েলে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ই থাকার কারণে এটি অ্যাজমা এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। সালাদ বা রান্নায় এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
**কোকো**: কোকোতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফুসফুসের স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে এবং অ্যালার্জি বা ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। তাই ডার্ক চকলেট নিয়মিত খেতে পারেন।
**মসুর ডাল**: মসুর ডালে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাসিয়াম, আয়রন, কপার, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার থাকে, যা শ্বাসযন্ত্রের সমস্যাগুলি কমাতে এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করে।
**কাঁচা হলুদ**: কাঁচা হলুদে থাকা কারকুমিন উপাদান প্রদাহ কমায় এবং ফুসফুস পরিষ্কার করে। এটি প্রতিদিন একটু চিবিয়ে অথবা দুধের সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে।
**গ্রিন টি**: গ্রিন টি ফুসফুস পরিষ্কার করতে সহায়তা করে এবং এতে থাকা পলিফেনল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ফুসফুসের প্রদাহ কমায় এবং কার্যকারিতা বাড়ায়।
**আদা**: আদা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান সমৃদ্ধ, যা ঠান্ডা, কাশি সারাতে সাহায্য করে এবং শ্বাসনালিতে জমে থাকা টক্সিন দূর করে।
**মধু**: মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান শ্বাসতন্ত্রের অস্বস্তি কমায় এবং নিয়মিত মধু খেলে শ্বাসতন্ত্রের জটিলতা কমে।