নারীদের জন্য নির্ভরযোগ্য বিউটি পণ্য এবং সৌন্দর্য বিষয়ক পরামর্শ প্রদান করতে সাজগোজ যাত্রা শুরু করেছে। সম্প্রতি, সাজগোজের সিসিও ও কো-ফাউন্ডার সিনথিয়া শারমিন ইসলামের সাথে এক সাক্ষাৎকারে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সিনথিয়া শারমিন ইসলাম বলেন, “সাজগোজ প্রতিষ্ঠা করতে মূলত ব্যবসা দাঁড় করানোর লক্ষ্য ছিল না, বরং আমরা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চেয়েছিলাম, যেখানে নারীরা বিউটি এবং পার্সোনাল কেয়ার নিয়ে সঠিক ধারণা পাবে। শুরুতে বাজারে কম পণ্য ছিল এবং ক্রেতারা সঠিক তথ্য পেতেন না। একজন ফার্মাসিস্ট এবং নারী উদ্যোক্তা হিসেবে আমি এই সমস্যা লক্ষ্য করি।” ২০১৩ সালে কনটেন্ট সাইট হিসেবে সাজগোজের যাত্রা শুরু হলেও, ২০১৫ সালে প্রথম আউটলেট চালু হয় যমুনা ফিউচার পার্কে, এবং ২০১৮ সালে এটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত হয়।
সাজগোজ অন্য বিউটি প্ল্যাটফর্মগুলোর থেকে আলাদা কেন, সে সম্পর্কে সিনথিয়া বলেন, “আমরা সবসময় ক্রেতাদের ব্যক্তিগত পছন্দ ও প্রয়োজন অনুযায়ী পণ্য ব্যবহারের পরামর্শ দিই। শুধু পণ্য বিক্রির মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে ত্বক ও চুলের ধরন অনুযায়ী পণ্য নির্বাচনে টিউটোরিয়াল এবং বিউটি টিপস প্রদান করি, যা আমাদের ‘কাস্টমার-ফার্স্ট’ বিজনেস মডেলকে আলাদা করে তোলে।”
পার্সোনাল কেয়ারকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করার কারণ জানতে চাইলে, সিনথিয়া বলেন, “পার্সোনাল কেয়ার শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়, এটি স্বাচ্ছন্দ্য এবং আত্মবিশ্বাসেরও বিষয়। আমাদের লক্ষ্য হলো ক্লায়েন্টদের আত্মবিশ্বাসী ও সচেতন করে তোলা, যাতে তারা অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করতে পারে।”
সাজগোজের ‘অ্যানিভার্সারি সেল’-এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, “গত ছয় বছরে ক্রেতাদের আস্থা ও বিশ্বাসের জন্য আমরা এই ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছি, যাতে তাদের পছন্দের টপ-কোয়ালিটি পণ্য বিশেষ ছাড়ে প্রদান করতে পারি।”
ইনোভেশন ও পার্সোনালাইজেশনে সাজগোজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমরা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্রেতাদের কেনাকাটা আরও সহজ করতে চাই এবং পরিবেশবান্ধব ও দেশীয় পণ্য সংযুক্ত করতে চাই।” এছাড়া, নতুন আউটলেট চালু করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অর্জন হিসেবে সিনথিয়া উল্লেখ করেন, “সাধারণ কনটেন্ট ব্লগিং সাইট থেকে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত হওয়া এবং লরিয়াল ও রেভলনের মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড বাংলাদেশে আনা। ১০ লাখেরও বেশি গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো এবং ৭০ শতাংশ রিপিট কাস্টমার আমাদের অগ্রগতির প্রমাণ।”
গ্রাহকদের ভিন্ন চাহিদা পূরণে সাজগোজ কিভাবে কাজ করছে, সে সম্পর্কে তিনি বলেন, “সাজগোজ বিভিন্ন ত্বক ও চুলের ধরন, ব্রণ, এইজিং ইত্যাদি সমস্যা বিবেচনা করে সঠিক পরামর্শ এবং পণ্য নির্বাচনে সাহায্য করে। আমাদের কাছে বিভিন্ন রেঞ্জের পণ্য রয়েছে, যা সব ধরনের গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করে।”