প্রসাধনী ব্যবহারে পরিমাণ ও প্রণালির সঠিক ভারসাম্য অনেকের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্কিন কেয়ার রুটিনে পারফেক্ট না হলেও, ত্বকে পণ্য ব্যবহারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম রয়েছে। অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহারে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এবং অনেক সময় একাধিক অ্যাকটিভ পণ্য একসাথে ব্যবহার করলে ত্বকে শুষ্কতা, লালচে ভাব বা কেমিক্যাল বার্ন হতে পারে। অপরদিকে, প্রয়োজনের তুলনায় কম ব্যবহারে পণ্যটির কার্যকারিতা কমতে পারে। বিশেষত, সানস্ক্রীনের ক্ষেত্রে এই ঘাটতি মারাত্মক হতে পারে।
তাহলে কীভাবে সঠিক পরিমাণে ব্যবহার করবেন?
– **ক্লিনজার**: মেকআপ রিমুভারের জন্য অল্প পরিমাণে ক্লিনজিং বাম বা অয়েল ব্যবহার করুন যতক্ষণ না পুরো মেকআপ উঠে যায়। ডাবল ক্লিনজিং সিস্টেমে পরবর্তীতে জেল বা ফোমিং ক্লিনজার ব্যবহার করুন। এক পাম্প পরিমাণ ক্লিনজার পুরো ত্বক পরিষ্কার করবে, এবং ২০০ মিলি ক্লিনজার ৪-৫ মাস চলতে পারে।
– **টোনার বা এসেন্স**: পণ্যটি হাতে ঢেলে সরাসরি ব্যবহার করুন, বা স্প্রে বোতলে থাকলে ৫-৬ বার স্প্রে করুন ত্বকে।
– **এক্সফোলিয়েটর**: কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েন্টের ক্ষেত্রে, প্রথমে পাতলা লেয়ার ব্যবহার করুন। ফিজিক্যাল এক্সফোলিয়েটরের জন্য একবার চাপ দিলেই যথেষ্ট।
– **সেরাম**: টোনারের পর অল্প পরিমাণ সেরাম লাগান। রেটিনল বা সেরাম ড্রপার থেকে ৫-১০ ফোঁটা ব্যবহার করা যাবে। চোখের চারপাশের জন্য পি-সাইজ পরিমাণ আই ক্রিম যথেষ্ট।
– **ময়েশ্চারাইজার**: এক স্কয়ার সেন্টিমিটার ত্বকের জন্য এক বা দুই মিলিগ্রাম ময়েশ্চারাইজার প্রয়োজন। পুরো মুখের জন্য নিকেল সাইজ পরিমাণ ময়েশ্চারাইজার যথেষ্ট।
– **সানস্ক্রীন**: এক স্কয়ার সেন্টিমিটার ত্বকের জন্য দুই মিলিগ্রাম সানস্ক্রীন প্রয়োজন। মুখ ও শরীরের খোলা অংশেও সমানভাবে প্রয়োগ করুন।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, প্রতিটি পণ্যের নির্দেশনা পড়ে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিত।