সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিমানের ভেতরের যাত্রীদের রাগারাগি বা দুর্ব্যবহারের ভিডিওগুলো প্রায়ই দেখা যায়। এসব পরিস্থিতিতে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়, সেটি হলো ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের প্রশিক্ষণ এবং সংযম। বিমানযাত্রার যেকোনো অস্বস্তিকর পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য তারা প্রস্তুত থাকে। অনেক যাত্রী চেষ্টা করেন বিমানবালাদের সহযোগিতা করতে, কিন্তু তাদের এই ‘সাহায্য’ কখনও কখনও কেবিন ক্রুর কাজকে আরও জটিল করে তোলে। যাত্রীদের বাড়তি উদ্দীপনা কখনও কখনও বিরক্তির কারণ হয়। আসুন, জেনে নিই কোন কোন কাজ না করলে কেবিন ক্রুদের জন্য সুবিধা হয়।
১. **অন্য যাত্রীকে নিয়ম শেখানো**: বিমানে উঠার পর যাত্রীদের অনেক নিয়ম মানতে বলা হয়। অনেক সময় অন্যদের ভুল ধরিয়ে দিতে ইচ্ছা হতে পারে, কিন্তু এটা করা উচিত নয়। যাত্রীরা যদি নিরাপত্তা নির্দেশনা না মানেন, তাহলে ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টদের বিষয়টি সামলাতে দিন।
২. **মাথার ওপর ব্যাগ রাখার জায়গা**: মাথার ওপর ব্যাগ রাখার সময় নিজের ব্যাগই রাখুন। অন্য কারও ব্যাগে অনুমতি ছাড়া হাত দেওয়া উচিত নয়। যদি জায়গা না থাকে, তাহলে বিমানবালাকে ডাকুন।
৩. **নিজেকে নিজে পরিবেশন**: খাবার পরিবেশনের দায়িত্ব ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টদের। খিদের জোয়ারে খাবার নিজে নেওয়া হলে তা শৃঙ্খলা নষ্ট করে। তাদের কাজকে সম্মান করুন এবং সময়মতো সাহায্য করুন।
৪. **ডাকার পদ্ধতি**: বিমানবালাকে ডাকার জন্য আপনার মাথার ওপরের সুইচ ব্যবহার করুন। তুড়ি মেরে বা হাতের কাপড় ধরে ডাকবেন না; এটি অভদ্রতা হিসেবে গণ্য হয়।
৫. **পানির বোতল পূরণ করা**: পুনর্ব্যবহারযোগ্য বোতল নিয়ে আসলে সেগুলো বিমানে ভরার চেষ্টা করুন, কিন্তু অতিরিক্ত বোতল আনবেন না। বিমানবন্দর থেকে পানি ভরে নিন, এতে বিমানবালাদের বিব্রত করতে হবে না।
৬. **গল্প করার জন্য ডাকা**: ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টরা তথ্য দিতে পছন্দ করেন, কিন্তু তাদের কাজে ব্যাঘাত ঘটানো উচিত নয়। তারা বিমানে নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন।
৭. **শুধু পাইলটকে ধন্যবাদ দেওয়া**: বিমানের যাত্রা শেষ হলে বিমানবালাদেরও ধন্যবাদ জানান। তারা যাত্রীদের সেবা করতে দাঁড়িয়ে থাকেন, তাই তাদের অবজ্ঞা করবেন না।
অতিরিক্ত কিছু কাজ যেমন সন্তানদের ময়লা ডায়াপার ধরিয়ে দেওয়া, অকারণ ডাকা, বা দীর্ঘ সময় বাথরুমে থাকা, অন্য যাত্রীদের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কেবিন ক্রুদের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে সহযোগিতা করতে পারলে সবাই উপকৃত হবে।