আজকাল এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন, যিনি মুঠোফোনে কাস্টমার কেয়ারে কল করেননি। আর এ ধরনের কলের শুরুতেই শোনা পরিচিত একটি বাক্য— “আপনার কাঙ্ক্ষিত সেবাটি পেতে অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন, ধন্যবাদ!” বেশির ভাগ মানুষ এ ধরনের বার্তা শুনে বিরক্ত হন এবং অপেক্ষার সময় বেশি হলে অনেকেই কল কেটে দেন। কেউ কেউ রাগান্বিত হয়ে কাস্টমার কেয়ার কর্মকর্তার সঙ্গে তর্ক করেন, যা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।কাস্টমার কেয়ার থেকে সেবা পাওয়ার জটিলতা এড়াতে এবং সঠিকভাবে সাহায্য পেতে কিছু কৌশল জেনে রাখা প্রয়োজন। আসুন, জেনে নেই কিভাবে অনলাইন বা অফলাইনে কাঙ্ক্ষিত গ্রাহক সেবা সহজে পাওয়া সম্ভব—
### ১. চুক্তির শর্ত পড়ুন
অনেক ক্রেতাই পণ্য কেনার সময় চুক্তির শর্তগুলো না পড়েই সই করেন। এর ফলে সেবা নিতে গিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয় এবং প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা নাও পেতে পারেন। এ ধরনের ভুল এড়াতে চুক্তির শর্তগুলো ভালোভাবে পড়ুন এবং প্রয়োজন হলে বিক্রেতার কাছ থেকে ব্যাখ্যা জেনে নিন। মনে রাখুন, সঠিক চুক্তি বুঝে নেওয়া আপনার অধিকার।
### ২. তথ্য সঠিকভাবে দিন
অনেক সময় গ্রাহকরা কাস্টমার কেয়ারে সঠিক তথ্য না দিয়ে সেবা নিতে চান, যা সমস্যা সমাধানে বাধা সৃষ্টি করে। সঠিক তথ্য দিয়ে সেবা চাইলে দ্রুত এবং নির্ভুল সমাধান পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সুতরাং, সঠিক ও স্বচ্ছ তথ্য প্রদান আপনার পক্ষেই ভালো।
### ৩. সঠিক সময়ে কল করুন
অনেক প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময়ে সেবা দেওয়ার জন্য বিশেষ ছাড় দিয়ে থাকে। দিনের শেষের দিকে বা নির্দিষ্ট অফ-পিক সময়ে কল করলে সেবায় ছাড় পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। প্রয়োজনে কাস্টমার কেয়ারের প্রতিনিধির সঙ্গে সৌজন্যমূলক আলাপ চালিয়ে ছাড়ের বিষয়ে খোঁজ নিতে পারেন।
### ৪. অপেক্ষা করুন এবং কথা বলুন
প্রথমে কাস্টমার কেয়ারে কল করলে অপেক্ষার জন্য বার্তা শুনতে হতে পারে। এটি সাধারণত ব্যস্ত সময়ের কারণে হয়ে থাকে। বিরক্ত হয়ে কল কেটে না দিয়ে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন। সংযোগ পাওয়া মাত্রই সুনির্দিষ্টভাবে আপনার সমস্যা তুলে ধরুন।
### ৫. শান্ত থাকুন
অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর সংযোগ পেলে বিরক্তি আসতে পারে। তবে শান্ত থাকাই শ্রেয়। বিরক্ত হয়ে কঠিন কথা বললে আপনার সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। কাস্টমার কেয়ারের কর্মকর্তার সঙ্গে সহনশীলভাবে কথা বললে তারা আপনার সমস্যার সমাধানে বেশি মনোযোগী হন।
### ৬. চ্যাটবট ব্যবহার করুন
বড় প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাধারণত চ্যাটবট সেবার সুবিধা থাকে, যা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকে। জটিল সমস্যার সমাধান না মিললেও চ্যাটবটের সাহায্যে প্রয়োজনীয় তথ্য ও যোগাযোগের ঠিকানা জানা যেতে পারে।
এই কৌশলগুলো প্রয়োগ করলে কাস্টমার সার্ভিস থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাওয়া অনেক সহজ হতে পারে।