প্রতিদিন কলা খাওয়ার নানা উপকারিতা রয়েছে। কলায় থাকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ উপাদান, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। চিকিৎসকরা নিয়মিত কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। প্রতিদিন অন্তত দুটি কলা খেলে যেসব উপকার পেতে পারেন—
**রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে**
কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে।
**ওজন কমাতে সহায়তা করে**
কলা ফাইবার বা আঁশ ও শর্করাসমৃদ্ধ। কলা খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে, ক্ষুধা কম লাগে। এতে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কলা রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে এবং ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়াতে সহায়তা করে, যা ওজন কমানোর জন্য উপকারী।
**রক্তাল্পতার ঝুঁকি কমায়**
কলায় আয়রন থাকে, যা লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সহায়তা করে। এতে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি কমে। এছাড়া ভিটামিন বি৬ রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
**পরিপাক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে**
কলায় এমন একটি প্রতিরোধী স্টার্চ থাকে, যা বৃহদন্ত্রে গিয়ে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়ার খাদ্যে পরিণত হয়। ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে খনিজ পদার্থ বেরিয়ে যায়, যা পূরণে কলা অত্যন্ত কার্যকর।
**মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে**
কলায় ট্রিপ্টোফ্যান নামক উপাদান থাকে, যা সেরোটোনিন বা ‘হাসিখুশি হরমোন’ উৎপাদনে সহায়ক। এছাড়া এতে ম্যাগনেশিয়াম থাকে, যা মন ভালো রাখতে এবং ভালো ঘুমে সহায়তা করে।
**ভিটামিনের ঘাটতি পূরণে সহায়ক**
কলায় ভিটামিন বি৬ ও ভিটামিন সি থাকে, যা সুস্থ কোষ তৈরিতে, ইনসুলিন উৎপাদনে এবং দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদা পূরণে সাহায্য করে।
**শক্তি বৃদ্ধি করে**
কলার পটাশিয়াম মাংসপেশির ক্র্যাম্প থেকে রক্ষা করে এবং কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করে। ফলে ভারী পরিশ্রমের পর শক্তি বাড়াতে কলা বিশেষভাবে উপকারী।