বাসা বদলানোর প্রয়োজন বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। কখনো এক শহর থেকে অন্য শহরে, আবার কখনো শহরের ভেতরেই এলাকা পরিবর্তন করা হয়। আয় ও খরচের সমন্বয় করতে না পারলে বিপদে পড়তে হতে পারে, তাই বর্তমান ভাড়ার বাজারে অনেককে আপস করতে হয়।এক আত্মীয়ের গল্প থেকেই শুরু করি। দুই দশক ধরে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় বসবাস করে, তাঁদের একমাত্র সন্তান এখন হাইস্কুলের শেষ পর্যায়ে। অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষার পর তাঁরা সিদ্ধান্ত নিলেন ঢাকা ছাড়বেন। আয়ের সঙ্গে খরচের তুলনায় সচেতনভাবে স্থান পরিবর্তনের পরিকল্পনা করলেন। কিন্তু কোথায় যাবেন—গ্রামে? গ্রামীণ স্কুল নিয়ে সন্তানের আপত্তি থাকায় শেষ পর্যন্ত জেলা শহরে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। স্কুলের কাছাকাছি বাসা ভাড়া নেওয়ার পর দুই মাসের মধ্যে তাঁরা আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য তৈরি করে ফেলেন। ঢাকার তুলনায় প্রায় অর্ধেক দামে বড় বাসা ভাড়া নিয়ে এবং খরচ কমিয়ে দুই বছরে বেশ কিছু সঞ্চয়ও করতে সক্ষম হয়েছেন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২৩ সালের জরিপে দেখা গেছে, গ্রাম থেকে শহরে ও শহর থেকে গ্রামে স্থানান্তরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাসা বদলানোর ক্ষেত্রে কিছু বিষয় গুরুত্ব সহকারে ভাবতে হবে:
1. **কর্মস্থলের সঙ্গে দূরত্ব**: যানজটের কারণে বাসা ও কর্মস্থলের দূরত্ব গুরুত্বপূর্ন। অফিস থেকে বাসা যতটা কাছে হবে, কাজ ও ব্যক্তিগত জীবন পরিচালনা করা ততটাই সহজ হবে।
2. **বাড়িওয়ালার ভাড়া বৃদ্ধি**: পুরনো এলাকায় থাকার ফলে বাড়িওয়ালা বছরের পর বছর ভাড়া বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই আয়ের ২৫% এর বেশি ভাড়া না দেওয়ার চেষ্টা করুন। নতুন বাসা খুঁজে দেখুন, আধুনিক সুবিধা অনেক সময় কম ভাড়ায়ও পাওয়া যায়।
3. **শিশুর স্কুলের দূরত্ব**: সন্তানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে বাসা নেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ন। দূরে যাতায়াত করলে শিশুর ওপর মানসিক চাপ পড়ে। তাই স্কুলের কাছে বাসা ভাড়া নেওয়া ভালো।
4. **মা-বাবার কাছাকাছি থাকা**: পরিবারকে কাছে রাখলে সন্তান বড় করতে সুবিধা হয়। বিশেষ করে নতুন মা-বাবার জন্য। যেকোনো প্রয়োজন হলে দ্রুত সাহায্য পাওয়া যায়।
বাসা বদলানোর আগে এই বিষয়গুলো বিবেচনা করলে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।