মাসল মেমোরি নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি হলো, যখন আমরা সাঁতার শেখার শুরুতে পেশিগুলোর সঞ্চালনে তীব্র মনোযোগ দিই, তখন শিখে ফেলার পর সেই মনোযোগ আর দরকার পড়ে না। দীর্ঘ সময় ধরে একই কাজ করতে করতে পেশিগুলি অভ্যস্ত হয়ে যায়। শারীরিক কসরত, খেলাধুলা, কম্পিউটার টাইপিং, সেলাই, কুশিকাঁটা এবং বাদ্যযন্ত্র বাজানোর মতো নানা ক্ষেত্রে এমন অভিজ্ঞতা দেখা যায়।
মাসল মেমরি মানে হলো, বারবার একটি কাজ করার ফলে পেশি সেই কাজে অভ্যস্ত হয়ে যায়। প্রশ্ন ওঠে, মস্তিষ্কের কাজ স্মৃতি সংরক্ষণ করা, তাহলে পেশি কীভাবে স্মৃতি ধারণ করে? ডা. তাসনোভা মাহিনের মতে, মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষের মাধ্যমে পেশিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। স্নায়ুকোষের এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পেশির প্রশিক্ষণ হয়, যেখানে কাজের একটি প্যাটার্ন তৈরি হয়। এই প্যাটার্ন অনুসরণ করেই কাজটি সহজ হয়ে যায়।
মাসল মেমরি তৈরি হলে কাজের গতিও বাড়ে এবং সহজে সম্পন্ন করা যায়। এমনকি, কাজটি কিছুদিন না করলেও পেশির স্মৃতি নষ্ট হয় না, ফলে পুনরায় শুরু করতে গেলেও দক্ষতা ফিরে পাওয়া সহজ হয়।
যেমন, পেশি গঠনের জন্য শরীরচর্চা করতে গিয়ে প্রথমে দৃঢ়তা বাড়াতে কিছু সময় লাগে। কিন্তু অভ্যাস হয়ে গেলে, যদি বিরতি নেওয়া হয়, তাও পেশির দৃঢ়তা বেশিদিন বজায় থাকে। পুনরায় ব্যায়াম শুরু করলে, পেশি গঠনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।
তাহলে, যে কোনো দক্ষতা অর্জনের জন্য নিয়মিত অনুশীলন অপরিহার্য। তাই তারকা খেলোয়াড় ও সংগীতশিল্পীরা নিজেদের প্রস্তুত রাখতে অনুশীলন চালিয়ে যান। মাসল মেমোরির এই সুফল তাঁদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।