দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৪, ২০২৪ ২২:৩০

তারুণ্য বদলে দেবে বাংলাদেশ।

সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দেশের তরুণ প্রজন্ম তাদের ক্ষমতার নতুন উদাহরণ স্থাপন করেছে। তরুণ বয়স হলো প্রতিবন্ধকতাগুলো ভেঙে ফেলার সময়, যেখানে অসম্ভবকেও সম্ভব মনে করা হয়। তারা ব্যর্থতাকে ব্যর্থতা মনে না করে, বড় চিন্তা করতে এবং ভালো চিন্তা করার দিকে মনোনিবেশ করে। বাংলাদেশের Gen-Z প্রজন্মের বিশ্বাস—সবকিছু সম্ভব।

 

এ উপলক্ষে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন প্রকাশ করেছে ‘সব সম্ভব’, যেখানে শতাধিক তরুণের জীবন বদলে যাওয়ার গল্প সংকলিত হয়েছে। বইটির ভূমিকা পড়লে মনে হবে, কীভাবে তাদের জীবন পাল্টে গেল? কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ তাদের জীবনকে পরিবর্তন করেছে। বান্দরবানে লামায় অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানটি ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠা করেন শহীদ আল বোখারী মহাজাতক। শুরুতে সাতজন ছাত্র নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও, বর্তমানে এখানে ২২টি জাতির দুই হাজার পাঁচশোরও বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।

 

বিভিন্ন কারণে অনেক শিশুর বাবা-মা নেই বা আর্থিক অসচ্ছলতার শিকার। এই শিশুদের চার বা পাঁচ বছর বয়সে কিংবা স্কুল জীবনের কোনো পর্যায়ে কোয়ান্টাম কসমোতে ভর্তি করা হয়। এখানে তারা নিয়মিত মেডিটেশন, ইয়োগা, লেখাপড়া, খেলাধুলা এবং সুশিক্ষার সুবিধা পায়। ছোট থেকে তারা ‘প্রথম’ হওয়ার ধারণা ধারণ করে। স্কুলটির শিক্ষার্থীরা বর্তমানে দেশের স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে এবং জাতীয় শিশু-কিশোর কুচকাওয়াজ প্রতিযোগিতায় পাঁচবার প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

 

কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের ‘কোয়ান্টা’ বলা হয়, মানে প্রত্যেকেই এক একটি আলোকগুচ্ছ। এই বইটি পড়তে গিয়ে পাঠকরা জীবন বদলের অসংখ্য গল্প জানবেন, পাশাপাশি প্রান্তিক মানুষের সংগ্রামের চিত্র ও সমাজের নানা অসঙ্গতির বাস্তবতা উপলব্ধি করবেন। কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের ২৩ বছরের ইতিহাস, শূন্য থেকে শুরু এবং অসম্ভবকে সম্ভব করার কাহিনীগুলোও উঠে আসবে।

 

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পক্ষে বইটি প্রকাশ করেছেন মায়িশা তাবাসসুম, প্রচ্ছদ শিল্পী শান্ত খিয়াং, এবং এটি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত হয়েছে। বইটির মূল্য ৫০০ টাকা, কিন্তু ছাড়কৃত মূল্য ২৫০ টাকা। সম্পাদনা করেছেন শরিফুল ইসলাম এবং উক্য এ মার্মা।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ