যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের পাবলিক পোস্ট ব্যবহার করে তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি প্রশিক্ষণের কাজ শুরু করেছে মেটা। এ বিষয়ে ব্যবহারকারীদের নোটিফিকেশন এবং ইমেইলের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। কিন্তু নিজেদের পোস্ট এআই প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত হওয়ায় অনেক ব্যবহারকারী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে, মানুষের মতো জেনারেটিভ এআই তৈরি করার জন্য ব্যবহারকারীদের পাবলিক পোস্ট, মন্তব্য, ছবি এবং ছবির ক্যাপশন ব্যবহার করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের ব্যবহারকারীদের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে এআই প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে মডেলটি দেশের সংস্কৃতি, ভাষা ও ভৌগোলিক বিষয়গুলো বুঝতে পারবে।
যদিও মেটা ব্যবহারকারীদের বিষয়টি জানাচ্ছে, গোপনীয়তা এবং ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। যদিও ব্যবহারকারীরা চাইলে তাদের তথ্যের ব্যবহার বন্ধ রাখতে পারেন, তবে মেটার এই উদ্যোগকে ভালো চোখে দেখছেন না সাধারণ ব্যবহারকারীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গত কয়েক দিনে তাদের প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।
মেটা দাবি করেছে, তথ্য ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণ ব্যবহারকারীদের হাতে রয়েছে, এবং কীভাবে তথ্য ব্যবহার করা হবে তা স্পষ্টভাবে জানাতে ‘লার্ন হাউ উই ইউজ ইনফরমেশন অ্যাজ উই এক্সপ্যান্ড এআই অ্যাট মেটা’ নামে ই-মেইল পাঠানো হয়েছে। ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের উন্মুক্ত তথ্য ব্যবহৃত হবে।
যুক্তরাজ্যের সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ বলেছেন, যুক্তরাজ্য ও ব্রাজিলের ১৮ বছরের বেশি বয়সী ব্যবহারকারীদের তথ্য ব্যবহার করে এআইকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, ব্রাজিল ও যুক্তরাজ্যের বাইরে অন্য দেশের ব্যবহারকারীদের তথ্যও ব্যবহার করা হতে পারে, যদিও আইনি ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুর্বলতার কারণে সেটি প্রকাশিত হয় না।
এ আগে, মেটা জানিয়েছিল যে, যুক্তরাজ্যের তথ্য সুরক্ষার নিয়ন্ত্রক সংস্থা দ্য ইনফরমেশন কমিশনার অফিসের (আইসিও) সঙ্গে এ বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।
সূত্র: ডেইলি মেইল