বিদেশে নয়, দেশের মাটিতে সাইবার নিরাপত্তা প্রশিক্ষণের জন্য ৭ জনের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) অধিদপ্তর প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচ করেছে। অভিযোগ উঠেছে, এই প্রশিক্ষণ আইনের নিয়ম না মেনে আয়োজন করা হয়েছে। গত বছরের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত সাইবার নিরাপত্তা প্রশিক্ষণে আইসিটি বিভাগের সচিব এবং আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সাতজন অংশ নেন।
আইসিটি অধিদপ্তর বলেছিল, সরকারের সাইবার নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য দক্ষতা অর্জন ও সাইবার নিরাপত্তাসেবা প্রদানই এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য। এই উদ্যোগ সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকের একটি বক্তব্যের পর নেওয়া হয়। ২০২২ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে তিনি সাইবার সক্ষমতা বাড়ানোর কথা বলেন।
সামনে ছয় মাস, আইসিটি অধিদপ্তর সাইবার সিকিউরিটি পুল গঠন এবং উচ্চতর প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেয়। সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সনদ প্রদানকারী গ্লোবাল প্রতিষ্ঠান ইসি কাউন্সিল। তাদের প্রশিক্ষণ বাংলাদেশে পাঁচটি অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাওয়া যায়, কিন্তু আইসিটি অধিদপ্তর সরাসরি আইবিসিএস-প্রাইমেক্স নামের প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করে। উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বানের নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি।
সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত কারিগরি মূল্যায়ন সংস্থার সাবেক মহাপরিচালক ফারুক হোসেন বলেন, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান বাছাই না করে আইন ও বিধির লঙ্ঘন ঘটানো হয়েছে।
চুক্তিপত্র অনুযায়ী, আইবিসিএস আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুই মাসের প্রশিক্ষণ প্রদান করে। প্রশিক্ষণে অংশ নেন আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, সাবেক মহাপরিচালক মোস্তফা কামাল এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা। প্রশিক্ষণ শেষে সময়ের বিলম্বের অভিযোগ রয়েছে।
সাইবার নিরাপত্তার এই প্রশিক্ষণের জন্য ৪৮ লাখ ২০ হাজার টাকার চুক্তি হয়। আইসিটি অধিদপ্তর এবং আইবিসিএস দাবি করছে, এই অর্থ পরীক্ষার ও প্রশিক্ষণের জন্য ব্যয় হয়েছে। সচিব ও মহাপরিচালক স্থায়ী কর্মকর্তা নয়, তাই তাদের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।