২ বছরের ঊর্ধ্বে মার্কিন নাগরিকেরা প্রতিদিন গড়ে ১৭ চা–চামচ চিনি খায়, যা একজন মানুষের দৈনিক চিনি খাওয়ার মাত্রার প্রায় ৩ গুণ। যদিও বাংলাদেশের মানুষের চিনি গ্রহণের ওপর নির্দিষ্ট কোনো জরিপ নেই, তবে সংস্কৃতিগত দিক থেকে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবারের গুরুত্ব বিবেচনায় বলা যায়, আমাদেরও চিনির পরিমাণ কম নয়। বাড়তি চিনি আমাদের জীবন উদ্যাপনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ।
### দিনে কতটুকু চিনি খাওয়া যাবে?
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন অনুযায়ী, নারীরা দিনে ৬ চামচ এবং পুরুষেরা ৯ চামচ পর্যন্ত চিনি খেতে পারেন। আর ২ বছরের নিচের শিশুদের বাড়তি চিনি না দেওয়াই ভালো।
যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া স্কুল অব মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ড. লরা শিচমিত সিএনএনের স্বাস্থ্যবিষয়ক পডকাস্ট ‘চেজিং লাইফ’-এ বাড়তি চিনি খাওয়া কমানোর জন্য দুটি পরামর্শ দিয়েছেন। কেবল এই দুটি অভ্যাসেই বাড়তি চিনি খাওয়ার পরিমাণ ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ কমানো সম্ভব।
#### ১. চিনি গিলবেন না:
এর মানে হলো, চিনি দিয়ে তৈরি তরল সব খাবার বাদ দিন। যেমন: সোডা, সফট ড্রিংকস, এনার্জি ড্রিংকস, ফলের জুস, চিনিযুক্ত চা বা কফি ইত্যাদি। এই খাবারগুলোর পুষ্টিমান খুবই কম। কেবল এই অভ্যাসটি গড়ে তুললেই বাড়তি চিনির একটি বড় অংশকে বিদায় জানাতে পারবেন। ঘরে–বাইরে বা কর্মক্ষেত্রে কিছুক্ষণ পরপর চা–কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে চিনি ছাড়া খান।
#### ২. চোখের আড়াল মানে মনের আড়াল:
সুপারশপে গিয়ে একগাদা মিষ্টিজাতীয় জিনিস কিনে ঘরে ফিরবেন না। মনে রাখবেন, মিষ্টিজাতীয় খাবারগুলো আপনার চোখের সামনে থাকে বলেই আপনি সেগুলো খাওয়ার প্রবণতা দেখান। মার্কিন সুপারমার্কেটে যত প্যাকেটজাত খাবার পাওয়া যায়, তার ৭৪ শতাংশই মিষ্টিজাতীয় বা চিনিযুক্ত। তাই মিষ্টি বিস্কুট, কেক, আইসক্রিম, চকলেট, ক্যান্ডি, চিনি কেনা বন্ধ করুন। এর বদলে স্বাস্থ্যকর খাবার বানিয়ে খান। একান্তই যদি মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছা করে, সে ক্ষেত্রে খেজুর, কলা, আম ইত্যাদি দিয়ে কাস্টার্ড, পুডিং, কেক বা আইসক্রিম বানিয়ে খেতে পারেন।
কেবল এই দুটি অভ্যাসেই আপনি বাড়তি চিনি খাওয়ার পরিমাণ ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ কমাতে পারবেন! 🍏🥤
**তথ্যসূত্র:** সিএনএন