দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৪, ২০২৪ ২৩:৫৮

পাকিস্তানের পাঠানো আমন্ত্রণ সম্পর্কে ভারত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে

পাকিস্তান ও ভারতের পতাকা I

পাকিস্তানের পাঠানো আমন্ত্রণ নিয়ে এবার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ভারত। ইসলামাবাদ থেকে আমন্ত্রণপত্র প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘এসসিও বৈঠকের জন্য আমরা পাকিস্তান থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’

অক্টোবরে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যা ইসলামাবাদে আয়োজন করা হবে। পাকিস্তান দাবি করেছে যে, এসসিওর সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রনেতাদের জন্য আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে এবং ভারতকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালুচ।

পিটিআই জানিয়েছে, শুক্রবার সাউথ ব্লকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রও এ আমন্ত্রণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নে জানান যে, আমন্ত্রণ পাওয়ার পরেও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

প্রসঙ্গত, সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন ২০০১ সালে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়, রাশিয়া, চীনসহ ছয়টি দেশের রাষ্ট্রনেতারা সাংহাইয়ে বৈঠক করে এই সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৭ সাল থেকে ভারত ও পাকিস্তানও এই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সদস্য। তবে, দুই প্রতিবেশীর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বর্তমানে বেশ জটিল। ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদদ এবং উপত্যকায় জঙ্গি অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলেছে। অতীতে এসসিও সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর শুক্রবার এক বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন আলোচনার যুগ শেষ। সকল কর্মের ফল ভোগ করতে হবে।’ জয়শঙ্কর আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করতে গিয়ে আমরা কখনোই সন্ত্রাসবাদকে উপেক্ষা করতে পারি না। পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং ভারত এ ধরনের হুমকি বরদাশত করবে না। পাকিস্তান বারবার আন্তর্জাতিক সীমান্তে সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে ভারতকে আলোচনার টেবিলে বসানোর চেষ্টা করেছে, কিন্তু সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে ভারত কখনোই আলোচনায় বসবে না।’

এসসিও সম্মেলনে রাষ্ট্রনেতাদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক নয়। চলতি বছরের জুলাইয়ে কাজাখস্তানে এসসিও বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি উপস্থিত ছিলেন না, বরং পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর সেখানে উপস্থিত ছিলেন। গত বছরেও গোয়ায় এসসিও বৈঠকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ উপস্থিত ছিলেন না এবং তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ