দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৪, ২০২৪ ২৩:৪১

খাদ্যসংকটের ফলে নামিবিয়া ৮৩টি হাতি ও অন্যান্য বন্য প্রাণী শিকার করে খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নামিবিয়াতে তীব্র খরার ফলে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় দেশটির পরিবেশ মন্ত্রণালয় ৮৩টি হাতিসহ মোট ৭২৩টি বন্য প্রাণী শিকার করে খরাপীড়িত জনগণের মধ্যে মাংস বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পার্ক ও জনবসতিপূর্ণ যেসব অঞ্চলে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি প্রাণী রয়েছে, সেখান থেকে এসব প্রাণী সংগ্রহ করা হবে। এরপর সেগুলোকে জবাই করে নাগরিকদের মাঝে মাংস বিতরণ করা হবে।

দক্ষিণ আফ্রিকা কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার মুখোমুখি হয়েছে। জাতিসংঘের মতে, নামিবিয়া গত মাসে তার খাদ্য মজুদের ৮৪ শতাংশ নিঃশেষ করে ফেলেছে। দেশটির জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক আগামী মাসগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানায়, খরার মাত্রা এত তীব্র যে কর্তৃপক্ষ হস্তক্ষেপ না করলে মানুষ ও বন্য প্রাণীর মধ্যে সংঘর্ষ বাড়তে পারে।

পরিবেশ মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, চিহ্নিত জনবসতি এলাকাগুলো থেকে ৮৩টি হাতি শিকার করে ত্রাণ কর্মসূচিতে মাংস বরাদ্দ করা হবে। হাতির পাশাপাশি, ৩০টি জলহস্তি, ৬০টি মহিষ, ৫০টি ইম্পালা, ১০০টি নীল ওয়াইল্ডবিস্ট, ৩০০টি জেব্রা ও ১০০টি ইল্যান্ড শিকার করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পেশাদার শিকারি ও সরকারের চুক্তিবদ্ধ কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে ১৫৭টি প্রাণী শিকার করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ৫৬ হাজার ৮০০ কিলোগ্রামেরও বেশি মাংস সংগ্রহ করা হয়েছে।

পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানায়, ‘এই ধরনের প্রাণী শিকার আমাদের সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এটি আমাদের নাগরিকদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আমরা আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ নাগরিকদের প্রয়োজনে ব্যবহার করছি।’

দক্ষিণ আফ্রিকার পাঁচটি দেশ—জিম্বাবুয়ে, জাম্বিয়া, বতসোয়ানা, অ্যাঙ্গোলা ও নামিবিয়াজুড়ে বিস্তৃত একটি সংরক্ষিত এলাকায় প্রায় ২ লাখেরও বেশি হাতি বাস করে। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি হাতির বাস এই অঞ্চলে।

সূত্র: রয়টার্স

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ