দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৪, ২০২৪ ২৩:৪৭

ছয় দশক আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের প্রথম সরাসরি বিতর্ক কেমন ছিল?

জন এফ কেনেডি ও রিচার্ড নিক্সনছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীদের সরাসরি টেলিভিশন বিতর্ক বর্তমানে প্রধান নির্বাচনী প্রচার অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা সাধারণত একাধিক বিতর্কে অংশগ্রহণ করে, যা ভোটের মাঠে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। যদিও এ ধরনের বিতর্ককে জয়-পরাজয়ের নির্ধারক বলা যায় না, তার প্রভাব অস্বীকার করার সুযোগ নেই।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘটনা এটির গুরুত্বকে আরও প্রমাণ করে। গত ২৭ জুন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে হেরে তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যেতে বাধ্য হন।

টেলিভিশন বিতর্কে প্রার্থীরা মূলত নিজেদের নির্বাচনী ইশতেহার উপস্থাপন করেন। ক্ষমতাসীন দলের নীতির সমালোচনার পাশাপাশি নিজের পরিকল্পনা তুলে ধরেন বিরোধী প্রার্থী। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন প্রার্থী ভোটারদের সামনে নিজেদের নতুন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এসব বিতর্ক বিশ্বরাজনীতিতে একটি নতুন পরিবর্তন নিয়ে এসেছে।

এ বিতর্কের ধারাবাহিকতা ৬৪ বছর আগে ১৯৬০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছিল, যখন সিবিএসের আয়োজন করা প্রথম বিতর্কে অংশ নেন তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও সিনেটর জন এফ কেনেডি।

ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কেনেডি এবং রিপাবলিকান প্রার্থী নিক্সনের বিতর্কে লাখো মানুষ টেলিভিশনে দেখেন। এই বিতর্কের পর অনেকেরই ধারণা ছিল যে, এটি প্রার্থীদের জয়-পরাজয় নির্ধারণে ভূমিকা রাখবে।

বিতর্কটি পরিচালনা করেন হাওয়ার্ড কে স্মিথ এবং প্রশ্ন করেন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকরা। বিতর্ক শুরুর আগে নিক্সন স্টুডিওতে উপস্থিত হন, কিন্তু তার স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে তিনি ফ্যাকাশে দেখাচ্ছিলেন, অন্যদিকে আত্মবিশ্বাসী কেনেডি তুলনামূলকভাবে উজ্জ্বল লাগছিলেন।

বিতর্কে মূলত দেশের অভ্যন্তরীণ নীতি, অর্থনীতি, স্বাস্থ্যসেবা, শ্রম অধিকার ও আন্তর্জাতিক সঙ্কট নিয়ে আলোচনা হয়। কেনেডি অভ্যন্তরীণ নীতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন, بينما নিক্সন তার বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

বিতর্ক শেষে জরিপে দেখা যায়, অধিকাংশ মানুষ মনে করেন কেনেডি বিতর্কে জয়ী হয়েছেন। পরবর্তী তিনটি বিতর্কেও অংশ নেন তারা, যেখানে নিক্সন কিছুটা ঘুরে দাঁড়ান, তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে জয়ী হন কেনেডি।

তথ্যসূত্র: সিবিএস, মার্কিন সিনেটের ওয়েবসাইট, ওয়াশিংটন পোস্ট।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ