শক্তিশালী টাইফুন ইয়াগির কারণে মিয়ানমারে প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ বন্যার কারণে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস জানায়, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩,৬০০ জন মানুষকে নৌকার মাধ্যমে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মিয়ানমার ছাড়াও ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডে মারাত্মক বন্যা দেখা দিয়েছে, যেখানে ২৩০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং উভয় দেশেই নদীর পানি বেড়ে নগর অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে অস্থিরতা বিরাজ করছে, যেখানে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নতুন গঠিত প্রতিরোধ বাহিনী ও জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো লড়াই করছে। বন্যার কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে, বিশেষত যখন দেশটি গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে।
জাতিসংঘের সহযোগিতায় পরিচালিত স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে, রাজধানী নেপিদোর আশপাশের প্রায় ১৬২ বর্গকিলোমিটার এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। দমকল বিভাগ জানিয়েছে, নেপিদো অঞ্চলের ৩০টি এলাকা থেকে ৩,৬০২ জন মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মিয়ানমারের ৫ কোটি ৫০ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তায় রয়েছে। তবে নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং প্রবেশাধিকারের সীমাবদ্ধতার কারণে আন্তর্জাতিক রেডক্রসসহ অনেক ত্রাণ সংস্থা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছাতে পারছে না।