যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত পাঠাও সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহকে হত্যা এবং চার লাখ ডলার চুরির অভিযোগে তার ব্যক্তিগত সহকারী টাইরেস হাসপিলকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এই রায় ঘোষণা করেন। মামলার শুনানি চলেছিল দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে। বিচারপতি এপ্রিল নিউবাওয়ের মতে, হাসপিল লোভের কারণে ফাহিম সালেহকে নির্মমভাবে হত্যা করেছেন এবং অর্থই এই হত্যার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল।
২০২০ সালের ১৩ জুলাই নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টে ফাহিম সালেহকে হত্যা করা হয় এবং ১৪ জুলাই তার টুকরো টুকরো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট আদালতের জুরি হাসপিলকে প্রথম ডিগ্রি হত্যাকাণ্ড, অর্থ লুট ও মরদেহ গুমের উদ্দেশ্যে টুকরো টুকরো করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে।
বিচারকরা জানিয়েছেন, হাসপিল দীর্ঘদিন ধরে ফাহিম সালেহর কাছ থেকে নগদ অর্থ চুরি করছিলেন। চুরির বিষয়টি ফাহিম জানতে পারলে তিনি হাসপিলকে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য দুই বছরের সময় বেঁধে দেন, যা হাসপিলের রাগের কারণ হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, হত্যার পর লাশ টুকরো করে গুম করার চেষ্টা করেন তিনি।
ফাহিম সালেহ বাংলাদেশের পাঠাও এবং নাইজেরিয়ার গোকাডার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। নিউইয়র্কে বেড়ে উঠা ফাহিম যুক্তরাষ্ট্রের বেন্টলি ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করে ২০১৪ সালে পাঠাও চালু করেছিলেন।