গাজার ভূখণ্ডে আবারও একটি স্কুলে নৃশংস হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। ইসরাইলের দাবি, গাজার হাসপাতাল, স্কুল, ধর্মীয় স্থান ও শরণার্থী শিবিরে হামাস যোদ্ধারা লুকিয়ে রয়েছে, ফলে এই স্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। গাজার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরের কাছে অবস্থিত জাতিসংঘের আল-জাউনি প্রিপারেটরি বয়েজ স্কুলে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া দুটি বেসামরিক বসতবাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এই হামলায় ৩৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ১৯ জন নারী ও কিছু নিষ্পাপ শিশু রয়েছে। আহতের সংখ্যা ১৮ বলে জানিয়েছেন গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলায় নারী ও শিশুদের দেহ ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে গেছে।
স্কুলটি ওই সময় ফিলিস্তিনি শরণার্থী পরিবারগুলোর আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ছয়জন ইউএনআরডব্লিউএ-এর কর্মী, তাদের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রের পরিচালকও রয়েছেন। এই হামলা ১১ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে একক কোনো হামলার ঘটনায় কর্মীদের সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এদিকে, গাজায় যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চলছে। হামাস মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে, তারা মার্কিন-প্রস্তাবিত ও জাতিসংঘ-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব বাস্তবায়নে প্রস্তুত। অন্যদিকে, মঙ্গলবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনুস ও আল-মাওয়াসি শহরে ইসরাইলি সেনাদের ভয়াবহ হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন। গাজায় ইসরাইলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪১,০৮৪ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৯৫,০০০-এর বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। পশ্চিম তীরেও ইসরাইলের হামলা চলছে, কারণ তেল আবিবের অভিযোগ, বহু হামাস যোদ্ধা গাজা থেকে পালিয়ে পশ্চিম তীরে ঘাঁটি গেড়েছে।