গাজা যুদ্ধে ইসরাইলকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ফিলিস্তিন ইস্যুতে মার্কিন নীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইউএস গ্রিন পার্টির প্রার্থী ড. জিল স্টেইন। তাঁর দাবি, ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান উভয় দলই ইসরাইলকে অর্থ পাঠাচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে তহবিল থেকে বঞ্চিত করছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়, তাহলে গাজা যুদ্ধ দ্রুত থেমে যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার দি রে হানানিয়া রেডিও শোতে সাক্ষাৎকারের সময় ড. জিল বলেন, “গাজা হলো আমেরিকার যুদ্ধ, এবং আমরা চাইলে এটি চোখের পলকে থামাতে পারি।”
তিনি আরো বলেন, “গাজার ইসরাইলি যুদ্ধের জন্য করের অর্থ সেখানে পাঠানো হচ্ছে, যার কারণে আমেরিকানরা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সুবিধাগুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।”
ড. জিল স্টেইন উল্লেখ করেন, “নারী, শিশু ও নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার জন্য ব্যবহৃত অস্ত্রের ৮০ শতাংশ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সরবরাহ করছে। আমরা অর্থ, সামরিক সমর্থন, কূটনৈতিক রক্ষাকবজ এবং গোয়েন্দা তথ্যও দিচ্ছি। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “এটা আমাদের যুদ্ধ। এটি ইসরাইলের যুদ্ধ নয়, এটি যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ। আমরা এই যুদ্ধের দায়বদ্ধতায় আছি এবং চাইলে এটি চোখের পলকে থামাতে পারি।”
স্টেইন আসন্ন নির্বাচনে ভোটারদের গণহত্যাকে অনুমোদন না করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “গাজায় যা ঘটছে, তার চেয়ে জরুরি কোনো বিষয় নেই। এখানে ভয়াবহ মাত্রায় শিশুদের নির্যাতন ও হত্যাকে স্বাভাবিকীকরণ করা হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারকে লঙ্ঘন করছে।”
স্টেইন বলেন, “আমার এবং গ্রিন পার্টিকে দেয়া প্রতিটি ভোট গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ বন্ধে সহায়তা করবে এবং সারা দুনিয়ার সংঘাত অবসানে ভূমিকা রাখবে।”
তিনি আরো বলেন, “গাজায় যা ঘটছে তা যুক্তরাষ্ট্রের এবং ইসরাইলের জন্যও ভয়াবহ বিষয়। আমরা ভণ্ড; আমরা দাবি করি গণতন্ত্র রক্ষা করছি, অথচ নিজের দেশে প্রার্থীদের ব্যালট থেকে সরিয়ে দিচ্ছি।”
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নৃশংস সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরাইল, যা অধিকৃত পশ্চিম তীরকেও প্রভাবিত করেছে। ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ৪১ হাজারে পৌঁছেছে। বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির তীব্র দাবি উঠলেও ইসরাইলের আগ্রাসন রোধ করা যাচ্ছে না।