অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের নাবলুসে এক মার্কিন নারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে ইসরাইলি সেনারা তাকে গুলি করে হত্যা করে।
আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহত অধিকারকর্মীর নাম আয়শানুর ইজগি আইগি। ২৬ বছর বয়সী এই তরুণী নাবলুসের দক্ষিণে বেইতার মাউন্ট সিবেই এলাকায় ইসরাইলের অবৈধ দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। এই সময় ইসরাইলি সেনারা তার মাথায় গুলি করে।
গুলির পর ইজগি আইগিকে নাবলুসের রাফিদিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের প্রধান ফুয়াদ নাফা রয়টার্সকে জানান, ইজগি মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছান এবং অপারেশনের চেষ্টা করা হলেও দুর্ভাগ্যবশত তিনি মারা যান।
স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াফা জানায়, ইসরাইলি বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ওপর সরাসরি গুলি, স্টান গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। এই পরিস্থিতিতে ইজগি গুলিবিদ্ধ হন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী আল জাজিরাকে বলেন, তিনি ইজগি আইগিকে জলপাই গাছের নিচে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন, এবং রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়।
সেই দিন পশ্চিম তীরের নাবলুসের দক্ষিণে একটি গ্রামে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে ১৩ বছর বয়সী কিশোরী বানা আমজাদ বকরও নিহত হন। ওয়াফা জানায়, ইসরাইলি সেনা তাকে বুকে গুলি করে হত্যা করে।
ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানায়, ইসরাইলি বাহিনীর সমর্থনে অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা ওই গ্রামে আক্রমণ করলে প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি একটি দলের মাধ্যমে হামলা মোকাবিলার চেষ্টা করে। এ সময় বানা গুলিবিদ্ধ হন এবং তাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে তার মৃত্যু ঘটে। তার বাবা জানান, বানা তার শোবার ঘরে অবস্থান করছিলেন যখন তাকে গুলি করা হয়।