পাকিস্তান সেনাবাহিনী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে সামরিক আইন অনুযায়ী বিচার করার ইঙ্গিত দিয়েছে। এছাড়া, যারা সামরিক বাহিনীকে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যবহার করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান। তিনি উল্লেখ করেন, সামরিক আইন অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনকে রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য ব্যবহার করে, তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। তবে ইমরান খানকে সামরিক আইনে বিচারের মুখোমুখি করার বিষয়টি আদালতের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল বলেও তিনি জানান।
ইমরান খান সম্প্রতি ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেছেন, যাতে তার বিরুদ্ধে সামরিক আদালতে বিচার করা না হয়। তার বিরুদ্ধে গত বছরের ৯ মে সহিংসতার ঘটনায় এফআইআর করা হয়েছে।
গত মাসে, পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়েজ হামিদ গ্রেফতার হন। তিনি ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। এই গ্রেফতারের পর ইমরান খানের উদ্বেগ আরও বেড়ে গেছে, এবং গুঞ্জন রয়েছে যে ফয়েজ হামিদ তার বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হতে পারেন।
এছাড়া, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের আইনবিষয়ক মুখপাত্র আকিল মালিকও জানিয়েছেন যে, ইমরান খানের বিচার পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্ট, ১৯৫২-এর আওতায় হতে পারে।