কানাডায় ২০২৫ সালে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নেতৃত্বাধীন উদারপন্থী সরকার পিছিয়ে রয়েছে। এর ফলে, ট্রুডো সরকার বিদেশি ভ্রমণকারী, অস্থায়ী বাসিন্দা এবং স্থায়ী অভিবাসীদের সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করছে। দেশটির বর্তমান আবাসন সংকট এবং বাড়তি বাসা ভাড়া নতুন আগত অভিবাসীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কানাডা সরকার ভিসা ইস্যু কমিয়ে এবং বৈধ নথি নিয়ে সীমান্তে পৌঁছানো ব্যক্তিদের অধিকাংশকেই ফিরিয়ে দিয়ে বিদেশি পর্যটক ও অস্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য প্রবেশের সুযোগ সীমিত করছে। এই পদক্ষেপগুলো অভিবাসন নীতির আরও কঠোরকরণের অংশ হিসেবে নেওয়া হচ্ছে।
কানাডা অতীতে নতুন অভিবাসীদের সাদরে গ্রহণ করার জন্য পরিচিত ছিল, কিন্তু সাম্প্রতিক জরিপগুলোতে দেখা গেছে যে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক কানাডীয় মনে করেন, দেশটি অনেক বেশি অভিবাসী গ্রহণ করছে। এ অবস্থান সীমান্ত ও অভিবাসন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলছে।
গত জুলাইয়ে কানাডা ৫,৮৫৩ জন ভ্রমণকারীকে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি, যা ২০১৯ সালের জানুয়ারির পর সবচেয়ে বেশি। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে, গড়ে ৩,৭২৭ জন বিদেশি ভ্রমণকারীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি। জুলাই মাসে ২৮৫ জন ভিসাধারীকে কানাডায় প্রবেশের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে, যা ২০১৯ সালের জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ।
কানাডার সীমান্ত সেবা সংস্থা (সিবিএসএ) জানিয়েছে, প্রবেশে অযোগ্য বিবেচনা করা হতে পারে অভিবাসনের ধরন বা নীতির পরিবর্তনের কারণে, তবে নির্দিষ্ট কোনো নীতি পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। সিবিএসএ’র মুখপাত্র জানান, প্রবেশযোগ্যতার মূল্যায়ন সবসময় করা হয় এবং এর পরিবর্তন হয়নি।
গত জুন মাসে, ভিজিট ভিসার আবেদনের প্রত্যাখ্যানের হার ভিসা অনুমোদনের হারের তুলনায় বেশি ছিল। করোনাভাইরাস মহামারির পর এই হার সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মে এবং জুন মাসে ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে অনুমোদনের চেয়ে বেশি।
গত আগস্টে কানাডার অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রী মার্ক মিলার বলেছিলেন, ‘কানাডীয়রা এমন একটি ব্যবস্থা চান যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।’
কানাডা উত্তর আমেরিকার উত্তরাংশে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র, যার দশটি প্রদেশ ও তিনটি অঞ্চল আটলান্টিক মহাসাগর থেকে প্রশান্ত মহাসাগর এবং উত্তরে আর্কটিক মহাসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র এবং কানাডার অধিকৃত ভূমি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রথম বসবাসের চেষ্টা চালায়।