ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মিশেল বার্নিয়ের নাম ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। ফ্রান্সে জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে যে রাজনৈতিক অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তার মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হলো। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় এখন বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে বার্নিয়েকে।
মিশেল বার্নিয়ের একজন প্রবীণ রাজনীতিক এবং তার বয়স ৭৩ বছর। তিনি ব্রেক্সিটের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রধান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পরিচিত, এবং ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একাধিক আলোচনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। ফ্রান্সের রিপাবলিকান পার্টি (এলআর) এর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত ছিলেন এবং ফ্রান্স ও ইইউতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
জুন ও জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত ফ্রান্সের জাতীয় নির্বাচনে কোন দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি, ফলে দেশটির পার্লামেন্টের জাতীয় পরিষদ তিনটি বড় রাজনৈতিক ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এই বিভক্তি এড়িয়ে একটি টেকসই সরকার গঠনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে বার্নিয়েকে।
১৯৫৮ সালে ফ্রান্সের প্রজাতন্ত্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি সবচেয়ে প্রবীণ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তিন বছর আগে বার্নিয়ে মাখোঁকে সরিয়ে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, তবে সেবার নিজ দলের মনোনয়ন পাননি।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়াল আতালের জায়গায় বসবেন বার্নিয়ে। আতালকে চলতি বছরের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন মাখোঁ এবং গত জুলাই থেকে ফ্রান্সের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ নিয়ে প্রেসিডেন্ট মাখোঁর পছন্দের বিরুদ্ধে বামপন্থী রাজনৈতিক জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনএফপি) অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। এনএফপি জুলাইয়ের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছিল এবং তাদের অভিযোগ, তাদের ভাল পারফরম্যান্স সত্ত্বেও ডানপন্থী একজনকে প্রধানমন্ত্রী করা হচ্ছে, যা একটি ডানপন্থী সরকার গঠনের ইঙ্গিত দেয়।