গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিরাপত্তাজনিত কারণে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত ও রেলপথ বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়।
তবে, দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আলোচনার পর আজ, ৪ সেপ্টেম্বর, আনুষ্ঠানিকভাবে রেলপথে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য পুনরায় শুরু করা হয়েছে।
জুলাই মাসে আন্দোলনের কারণে ভারত সরকার নিরাপত্তাজনিত কারণে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়, যার মধ্যে ১৯ জুলাই থেকে রেলপথে পণ্য পরিবহণ ও পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত বন্ধ রাখা হয়েছিল। এসময় বাংলাদেশিদের ভিসাও বন্ধ করা হয়। তবে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
১২ আগস্ট, বাংলাদেশের রেল কর্তৃপক্ষ ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষকে বাণিজ্য ও যাত্রী চলাচল পুনরায় চালুর জন্য চিঠি দেয়, কিন্তু সাড়া না পাওয়ায় বাণিজ্যিক ক্ষতির পাশাপাশি বাংলাদেশনির্ভর ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও ক্ষতির মুখে পড়ে। অবশেষে, ৪৭ দিন পর বুধবার রেলপথে পণ্য পরিবহন সেবা চালু করা হয়েছে।
আমদানিকারক মনির হোসেন বলেন, “ব্যবসার জন্য ভারত যাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু ভিসা বন্ধ থাকার কারণে অসুবিধায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। দ্রুত ভিসা চালু করার দাবি জানাচ্ছি।”
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আলহাজ মহসিন মিলন জানান, এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পাথর, জিপসাম ও সিমেন্ট তৈরির সামগ্রী আমদানি ছাড়াও গার্মেন্টস, কেমিকেল, মোটরকারসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করা হয়। সড়ক পথে ট্রাকে পণ্য পরিবহনে ৫ থেকে ৭ দিন লাগলেও রেলপথে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টায় বেনাপোল বন্দরে পৌঁছে যায়।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, এ মাস থেকে রেলপথে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে এবং দ্রুতই যাত্রী যাতায়াত পুনরায় চালু হবে। মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ভারত থেকে ৪২ ওয়াগন জিপসাম সার আমদানি হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক রেজাউল করিম বলেন, “দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর রেলপথে বাণিজ্য শুরু হয়েছে এবং পণ্য দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”