মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৭ অক্টোবর গত বছরের ইসরায়েলে হামলার ঘটনায় হামাসের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।
যাচাইকৃত তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন বিচার বিভাগ ছয়জন হামাস সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা, সন্ত্রাসবাদকে অর্থায়ন এবং ধ্বংসাত্মক অস্ত্র ব্যবহারের মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছে। মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড জানিয়েছেন, “আজ উন্মোচিত অভিযোগগুলো হামাসের কার্যক্রমের প্রতিটি অংশকে লক্ষ্যবস্তু করার আমাদের প্রচেষ্টার এক অংশ।”
অভিযোগের মধ্যে রয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়েহ, যিনি জুলাই মাসে ইরানে নিহত হন, এবং তার পরবর্তী নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার। অন্যান্য অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন মারওয়ান ইসা, যিনি হামাসের সশস্ত্র শাখার উপনেতা; খালেদ মাশআল, যিনি গাজা এবং পশ্চিম তীরে গ্রুপের নেতৃত্ব দেন; মোহাম্মদ দেইফ এবং আলী বরাকা।
ভিডিও বিবৃতিতে গারল্যান্ড বলেছেন, এই গোষ্ঠী “আমেরিকান নাগরিকদের হত্যা এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তাকে হুমকির মধ্যে ফেলার জন্য একটি দীর্ঘকালীন অভিযান পরিচালনা করেছে” এবং “ইসরায়েল রাষ্ট্রকে ধ্বংস এবং নিরপরাধ নাগরিকদের হত্যার প্রচেষ্টা করেছে।”
তিনি উল্লেখ করেছেন যে ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণে “তাদের দ্বারা পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে” এবং “বৃদ্ধ ও শিশুদের হত্যা করা হয়েছে।” এছাড়া, আক্রমণের সময় “১,২০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে” এবং “হলোকস্টের পর সবচেয়ে বড় ইহুদি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।”
অভিযোগের মধ্যে রয়েছে জনসাধারণের স্থানে বোমা হামলা, সন্ত্রাসবাদকে অর্থায়ন এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য সামগ্রী সহায়তা প্রদান।
বিচার বিভাগ জানায় যে সব অভিযুক্তই বা নিহত হয়েছেন, অথবা পলাতক রয়েছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল গত সপ্তাহে আমেরিকান-ইসরায়েলি হোস্টেজ হর্শ গোল্ডবার্গ-পলিনের হত্যার বিষয়েও উল্লেখ করেন।
এফবিআই পরিচালক ক্রিস্টোফার রে বলেন, হামাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত, “যার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে সহিংসতার” এবং এর কর্মকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্র ও আমেরিকান স্বার্থের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হুমকি বাড়িয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা ইরানের হামাসকে সমর্থনের ভূমিকা নিয়েও মন্তব্য করেছেন। তাদের অভিযোগ, হামাসের আক্রমণ ইরানের আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সমর্থন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
যদি অভিযুক্তরা দোষী সাব্যস্ত হন, তবে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদণ্ড।