দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৭, ২০২৪ ১৭:৫১

ইসলামাবাদে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে পিটিআই

পাকিস্তানের ইসলামাবাদে ইমরান খানের মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে ডাকা সমাবেশকে কেন্দ্র করে পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়ছবি: এএফপি

পাকিস্তানের ইসলামাবাদে তিন দিন ধরে চলা বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। আজ বুধবার ভোরে দলটির শীর্ষ পর্যায় থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানায়, “সরকারের বর্বর আচরণ এবং রাজধানীকে নিরস্ত্র নাগরিকদের জন্য কসাইখানায় পরিণত করার পরিকল্পনা সামনে রেখে, আমরা আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

দলটি আরও জানায়, দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের নির্দেশে তারা পরবর্তী পদক্ষেপ ঘোষণা করবে।

এর আগে, ২৪ নভেম্বর ইসলামাবাদে পিটিআইয়ের বিক্ষোভ শুরু হয়। এক পিটিআই মুখপাত্র জানান, এ পর্যন্ত বিক্ষোভের ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে আনিস শেহজাদ সাত্তি, মালিক মুবিন আওরঙ্গজেব, আবদুল কাদির, মালিক সফদার আলী, আহমেদ ওয়ালি, মুহাম্মাদ ইলিয়াস এবং আবদুল রশিদ ছিলেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পিটিআইয়ের রাজনৈতিক এবং প্রধান কমিটিগুলো বিক্ষোভের পরবর্তী ঘটনাবলী এবং নাগরিকদের ওপর সরকারের বর্বরতার বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করছে। এসব বিশ্লেষণ ইমরান খানের কাছে উপস্থাপন করা হবে।

এদিকে, পিটিআই কারাবন্দী ইমরান খানের মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী বাতিলের দাবিতে ডি-চকে সমাবেশের ডাক দেয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের ক্ষমতা পার্লামেন্টের হাতে অর্পণ করা হয়।

ইমরান খান ওই কর্মসূচিকে ‘চূড়ান্ত ডাক’ হিসেবে অভিহিত করে দলের নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ইসলামাবাদ অভিমুখে গাড়িবহর নিয়ে যাত্রা শুরু করেন পিটিআই নেতা-কর্মীরা, যাদের মধ্যে ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিও ছিলেন। এই সমাবেশের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে পিটিআই নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত সাতজন নিহত হন, এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানীতে সেনা মোতায়েন করা হয়।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

আইনজীবী হত্যায় আটক ছয়জনকে ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয়েছে: প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়

চট্টগ্রামে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সাইফুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন