গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে ছয় জিম্মির লাশ উদ্ধারের পর থেকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ভয়াবহ চাপের মুখে পড়েছেন। দেশটির জনগণ তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছে এবং সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ইসরাইল। নেতানিয়াহুর জিম্মি উদ্ধারে ব্যর্থতার কারণে তার ওপর কড়া সমালোচনা চলছে এবং সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরালো হচ্ছে।
রোববার থেকে বিভিন্ন সংগঠন ও রাজনৈতিক দল সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। সোমবার ইসরাইলের বৃহত্তম শ্রমিক ইউনিয়ন হিস্টাড্রুটও ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে। ইতোমধ্যে তেলআবিবসহ অন্যান্য শহরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা শুরু হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করছেন যে, নেতানিয়াহুর কারণে জিম্মিরা জীবিত অবস্থায় ফিরে আসতে পারেননি, কারণ তিনি হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সম্মত হননি। প্রায় ১১ মাস আগে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথমবারের মতো এত বড় আকারের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীরা দাবি করছেন, নেতানিয়াহুকে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ প্রয়োগ করতে। তেলআবিবে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে একটি প্রধান মহাসড়ক অবরোধ করেছেন, এবং পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করেছে।
ইসরাইলের বৃহত্তম ট্রেডস ইউনিয়ন হিস্টাড্রুট ধর্মঘটের মাধ্যমে সরকারকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করার জন্য চাপ দিচ্ছে এবং অর্থনীতির প্রধান খাতগুলো বন্ধ করার হুমকি দিয়েছে।
ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা ইয়াইর লাপিদও নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন এবং বর্তমান সরকারের অক্ষমতার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। নেতানিয়াহু একটি ভিডিও বার্তায় দাবি করেছেন যে, তিনি ডিসেম্বর থেকে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চেষ্টা করছেন, তবে হামাস রাজি হচ্ছে না।