প্রায় দুই বছর ধরে চোখের সমস্যায় ভুগছেন ৭৫ বছর বয়সী এশা বানু। আর্থিক সমস্যা ও নানা কারণে তিনি চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না। হঠাৎ প্রতিবেশীর মাধ্যমে জানতে পারেন, তার বাড়ির পাশেই চক্ষুশিবির অনুষ্ঠিত হবে এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা চিকিৎসা দেবেন। কয়েকদিন ধরে এই অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। অবশেষে মঙ্গলবার তার অপেক্ষার অবসান ঘটে। চক্ষুশিবিরে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সরারচর মাছুমপুর গ্রামের আহাদ মিয়ার স্ত্রী এশা বানু চোখের চিকিৎসা করান। অভিজ্ঞ চিকিৎসককে দেখে তিনি বেশ আনন্দিত। চোখ পরীক্ষা করার পর বিনামূল্যে ওষুধও পান তিনি।
মঙ্গলবার সরারচর ইউনিয়নের খনারচর নয়াহাটি পুলের মোড়ে (মক্তব প্রাঙ্গণ) দিনব্যাপী চক্ষু চিকিৎসা ও ছানি অপারেশনের আয়োজন করা হয়। এই চক্ষুশিবিরের আয়োজন করে ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন ও বসুন্ধরা আই হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, স্থানীয় মইনউদ্দিন-মুক্তারউদ্দিন ওয়েল ফেয়ার সোসাইটির সহযোগিতায়।
এশা বানুর মতো একই সমস্যায় ভুগছেন খনারচর গ্রামের সাহাবউদ্দিন। চক্ষুশিবিরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে পেরে তিনিও আনন্দিত। খনারচর জামে মসজিদ ও নয়াহাটি ইসলামিয়া মাদ্রাসার সভাপতি প্রফেসর ড. এম আবদুল আজিজ জানান, দিনব্যাপী চক্ষুশিবিরে প্রায় ৭০০ রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হয়, যার মধ্যে ১৬৫ জনকে অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়। তাদের পর্যায়ক্রমে ঢাকায় বসুন্ধরা আই হাসপাতালে নিয়ে বিনামূল্যে চোখের অপারেশন করা হবে।
সকাল ১০টায় চক্ষুশিবিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারাশিদ বিন এনাম। এসময় বসুন্ধরা আই হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ মোট ১০ জন চিকিৎসক চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন।