মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের কারণে জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশে হটলাইন চালু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত সন্দেহভাজনদের ১৬২৬৩ এবং ১০৬৫৫ নম্বরে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এমপক্স (মাঙ্কিপক্স) ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি সংক্রামক রোগ, যা বেদনাদায়ক ফুসকুড়ি, লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া এবং জ্বরের কারণ হতে পারে। এই ভাইরাসটি মধ্য আফ্রিকার কঙ্গো, বুরুন্ডি, রুয়ান্ডা, উগান্ডা, কেনিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। শরীরে এর কোনো লক্ষণ দেখা দিলে, আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে, বা সংক্রমিত দেশ ভ্রমণের ২১ দিনের মধ্যে লক্ষণ দেখা দিলে, ১৬২৬৩ বা ১০৬৫৫ নম্বরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মাঙ্কিপক্সের বিস্তারের ব্যাপারে বিশ্বব্যাপী জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, মাঙ্কিপক্স একটি সংক্রামক রোগ যার উপসর্গ অনেকটা জ্বর বা ফ্লুয়ের মতো। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে বা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে অন্য কেউও সংক্রমিত হতে পারে। মাঙ্কিপক্স ভাইরাস স্মলপক্স ভাইরাস শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত এবং এর দুটি রূপান্তরিত ধরণ রয়েছে: ক্ল্যাড-১ (মধ্য আফ্রিকান) এবং ক্ল্যাড-২ (পশ্চিম আফ্রিকান)। এই রোগে প্রতি ১০০ জন আক্রান্তের মধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়।
মাঙ্কিপক্সের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথা ব্যথা, ঘাম হওয়া, পিঠে ব্যথা, মাংসপেশির টান ও অবসাদ। প্রথম পর্যায়ে রোগীর জ্বর আসে এবং শরীরে ফোসকা দেখা দেয়, যা মুখে শুরু হয়ে পরে শরীরের অন্যান্য অংশে, বিশেষ করে হাতের তালু ও পায়ের তলায় ছড়িয়ে পড়ে।
মাঙ্কিপক্সের জন্য এখনও কোনো নির্দিষ্ট টিকা বা ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। তবে, ডব্লিউএইচও জানিয়েছে যে, স্মলপক্স বা জলবসন্তের টিকা মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর।
-এমএ