অনেকের চুল সাদা হয়ে গেলে তারা ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মেলাতে চুলে রং করেন। চুল রং করলে নিয়মিতভাবে আবার রং করার প্রয়োজন হয়। তবে এই হেয়ার কালারে অনেক রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় যা চুল এবং শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, হেয়ার স্টাইলিং পণ্যে ব্যবহৃত রাসায়নিক ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। হেয়ার কালারে থাকা ডায়ামিনোসেল সালফেট ও প্যারা-ফেনিল্যান্ডামাইন এই ঝুঁকি সৃষ্টি করে। এ রাসায়নিকগুলো হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে এবং হাঁপানি ও অ্যালার্জির সমস্যাও বাড়াতে পারে। যারা নিয়মিত চুল রং করেন তাদের ত্বকে জ্বালা, র্যাশ বা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া, দীর্ঘমেয়াদে এই রাসায়নিকগুলো শরীরের মধ্যে প্রবেশ করলে ত্বকের ক্যানসারসহ অন্যান্য মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
চুল রং করার বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতিও ভিন্ন ভিন্নভাবে ক্ষতিকর হতে পারে:
1. **অস্থায়ী রং**: একবার শ্যাম্পু করলেই উঠে যায় এবং চুলের গভীরে প্রবেশ না করায় তেমন ক্ষতি করে না। তবে দীর্ঘদিন ব্যবহারে ক্ষতি হতে পারে।
2. **আধা স্থায়ী রং**: ৮-১২ বার শ্যাম্পু করলেও পুরোপুরি উঠতে চায় না, এবং দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি করতে পারে।
3. **স্থায়ী রং**: এই রং চুলের গোড়ায় জমা হয়ে চুলের স্থায়ী ক্ষতি করে। এর মধ্যে থাকা অ্যামোনিয়া, পিপিডি, লেড ইত্যাদি উপাদানগুলো চুল ও ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
চিকিৎসকরা চুলে রং না করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে যদি করতেই হয়, তাহলে ৬ শতাংশের কম পিপিডি থাকা রং ব্যবহার করা উচিত। চুলে রং করার আগে কন্ডিশনার লাগানো এবং ভিটামিন-সি ক্যাপসুল খাওয়া উপকারী হতে পারে।