ডায়রিয়া হলে প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর অন্তত ২০০ মিলিলিটার বা ১ গ্লাস স্যালাইন পান করা উচিত।
**তরল খাবারের গুরুত্ব:**
ডায়রিয়া চলাকালীন শরীর থেকে প্রচুর পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। তাই স্যালাইনের পাশাপাশি নিয়মিত তরল খাবার যেমন:
– ভাতের মাড়
– চিড়ার পানি
– ডাবের পানি
– তাজা ফলের রস (যেমন কমলা, মাল্টা, ডালিম বা তরমুজের জুস)
– স্যুপ
– টকদই
– ঘোল
– লবণ-গুড়ের শরবত
এসব খাবার ডায়রিয়া রোগীর জন্য উপকারী। তরল খাবারের সঙ্গে স্বাভাবিক খাবারও চালিয়ে যেতে হবে, যদি রোগী বমি না করে।
**যাদের সতর্ক থাকতে হবে:**
যদি বাড়ির কাজের লোক, রেস্তোরাঁর রাঁধুনি, বা খাবার পরিবেশনের সঙ্গে যুক্ত কেউ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন, তাহলে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের কাজ বন্ধ রাখা উচিত। যদি কাজ বন্ধ করা সম্ভব না হয়, তাহলে খাবার তৈরির আগে এবং পরে সাবান দিয়ে হাত ভালোভাবে ধোয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
**কী করবেন না:**
ডায়রিয়ার শুরুতে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করা উচিত নয়। অনেকেই দ্রুত ডায়রিয়া বন্ধ করার জন্য অ্যান্টিডায়রিয়াল ওষুধ গ্রহণ করেন, যা বিশেষ করে শিশুদের জন্য খুব ঝুঁকিপূর্ণ। এসব ওষুধের কারণে শিশুদের অন্ত্রনালিতে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।
**খাবারের ধরন:**
ডায়রিয়া হলে ভাজা-পোড়া বা ঝাল মসলাদার বাইরের খাবার এড়িয়ে চলে বাড়িতে রান্না করা সহজপাচ্য খাবার খাওয়া উচিত।
**চিকিৎসা:**
ডায়রিয়ার প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে শরীরের পানিশূন্যতা পূরণ করা, যা খাবার স্যালাইনের মাধ্যমে সম্ভব। প্রথমে ওরস্যালাইন ছাড়া অন্য কোনো ওষুধ, যেমন অ্যান্টিবায়োটিক, খাওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে যদি ডায়রিয়া তীব্র হয় এবং শরীরে পানিশূন্যতার লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া উচিত।